নিজস্ব প্রতিনিধি: অবশেষে প্রশাসনিক পদক্ষেপ নেওয়া হল ঝালদা(Jhalda) থানার বিতর্কিত আইসি সঞ্জীব ঘোষের(IC Sanjib Ghosh) বিরুদ্ধে। পদে বহাল রেখেই তাঁকে ছুটিতে পাঠানো হল। পরিবর্তে থানার দায়িত্ব দেওয়া হল ঝালদা মহকুমার পুলিশ আধিকারিক তথা এসডিপিও সুব্রত দেবকে। গত ১৩ মার্চ বিকেলে পুরুলিয়া(Purulia) জেলার ঝালদা পুরসভার চার বারের কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দু(Tapan Kandu) দুষ্কৃতীদের গুলিতে খুন হন। শহর থেকে বেশ খানিকটা দূরে ঝালদা- বাঘমুন্ডি সড়কপথে গোকুলনগরের কাছে খুন হন তিনি। সাম্প্রতিককালে হয়ে যাওয়া পুরনির্বাচনে ত্রিশঙ্কু ফলাফল উঠে এসেছিল ঝালদায়। তৃণমূল ও কংগ্রেস উভয়েই ৫টি করে আসন দখল করে। নির্দলদের দখলে যায় ২টি আসন। এরপরেই কংগ্রেসের তরফে তপনবাবুকে মুখ করেই ঝালদা পুরসভার বোর্ড দখলের প্রক্রিয়া শুরু হয়। কিন্তু তার মাঝেই খুন হয়ে যান তপনবাবু। সেই ঘটনার পর থেকেই তপনবাবুর পরিবার থেকে একের পর এক অভিযোগ উঠতে শুরু করে ঝালদা থানার আইসি সঞ্জীব ঘোষের বিরুদ্ধে। সেই সঙ্গে ভাইরাল হয় তাঁর একের পর এক অডিও ক্লিপ। এসবের জেরেই এবার সম্ভবত তাঁকে পদে রেখে থানার কাজ থেকে ‘অব্যাহতি’ দেওয়া হল। কার্যত ছুটিতে পাঠানো হয়েছে তাঁকে। অন্তত জেলা প্রশাসন সূত্রে তেমনটাই জানা গিয়েছে।
ঝালদার ঘটনায় তপনবাবুর পরিবার, প্রদেশ কংগ্রেস এবং আমজনতার তরফ থেকে বার বার সিবিআই তদন্তের দাবি করা হয়েছে। একই সঙ্গে দাবি করা হয়েছে ঝালদা থানার আইসি প্রত্যক্ষ ভাবে এই খুনের ঘটনায় জড়িত। তপনবাবুর স্ত্রী পূর্ণিমা কান্দু, যিনি নিজেও এবার কাউন্সিলর হিসাবে নির্বাচিত হয়েছেন, তিনি বার বার অভিযোগ তুলেছেন যে সঞ্জীববাবুই আরও কয়েকজনের সঙ্গে এই গোটা হত্যাকাণ্ডের ষড়যন্ত্র করেছেন। তাই পুলিশের তদন্ত বা সিটের তদন্ত কিংবা সিআইডি তদন্ত, কোনও কিছুতেই তাঁদের আস্থা নেই। তাঁরা সিবিআই তদন্ত চান। এই একই দাবি ঝালদাবাসীরও। বুধবারই এই ঘটনায় সিবিআই তদন্ত চেয়ে ঝালদা শহরজুড়ে পোস্টার পড়েছে। আর তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে বুধবার রাতেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় ঝালদা থানার আইসিকে ছুটিতে পাঠানোর। শুধু তাই নয়, পুরুলিয়া জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, সঞ্জীববাবুকে পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদের মুখে পড়তে হচ্ছে। সিট ও সিআইডি’র আধিকারিকেরাও তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করবেন। তাঁর মোবাইল বাজেয়াপ্ত করে তার কললিস্টও খতিয়ে দেখা হবে বলা জানা গিয়েছে।