নিজস্ব প্রতিনিধি, জলপাইগুড়ি: মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে করোনা আক্রান্ত দরিদ্র পরিবারগুলির পাশে দাঁড়িয়ে তাঁদের খোঁজ খবর নিলেন খোদ পুলিশ সুপার। একইসঙ্গে ওই পরিবারগুলির হাতে খাদ্যসামগ্রী তুলে দিলেন তিনি। আর এই কঠিন পরিস্থিতিতে খোদ পুলিশ সুপারকে পাশে পেয়ে আবেগে কেঁদে ফেললেন বৃদ্ধ। এমনই দৃশ্য দেখলেন জলপাইগুড়ি পান্ডাপাড়া এলাকার বাসিন্দারা। বুধবার দুপুরেই জলপাইগুড়ির পুলিশ সুপার দেবর্ষি দত্ত নিজেই বেরিয়েছিলেন করোনা আক্রান্ত হয়ে হোম আইসোলেশনে বা সেফ হোমে থাকা দুস্থ পরিবারগুলির খোঁজখবর নিতে।
সম্প্রতি নবান্ন থেকে জেলাগুলিকে এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। সেইমতো বুধবার জলপাইগুড়ির পুলিশ সুপার দেবর্ষি দত্ত নিজেই করোনা আক্রান্ত দুঃস্থ পরিবারগুলি তালিকা হাতে নিয়ে বেরিয়ে পড়েন। এরপর তিনি এসে পৌঁছন জলপাইগুড়ি পান্ডাপাড়া এলাকায়। এখানকার বাসিন্দা প্রবীন নাগরিক সুভাষ চট্টোপাধ্য়ায় গত কয়েকদিন ধরে করোনা আক্রান্ত। পুলিশ সুপার তাঁর সঙ্গেও কথা বলেন এবং পরিবারের হাতে তুলে দেন খাদ্যসামগ্রী। এই অতিমারী পরিস্থিতিতে খোদ পুলিশ সুপারকে পাশে পেয়ে আবেগে কেঁদে ফেললেন বৃদ্ধ। এদিন জলপাইগুড়ি জেলা জুড়ে করোনা আক্রান্ত ২০টি পরিবারের হাতে খাদ্যসামগ্রী তুলে দিয়ে কর্মসূচি শুরু করে জলপাইগুড়ি জেলা পুলিশ। এদিন পুলিশ সুপারের সাথে ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এবং জলপাইগুড়ি পুরপ্রশাসক বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান সৈকত চট্টোপাধ্য়ায়।
অপরদিকে ধুপগুড়ি থানার পুলিশ ও ধূপগুড়ি পুরসভাও এই কর্মসূচি নিয়েছে। বুধবার ধূপগুড়ি থানার আইসি সুজয় তুঙ্গা এবংপুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান রাজেশ কুমার সিং করোনা আক্রান্ত রোগীদের বাড়িতে যান। সেখানে চাল, ডাল, আলু, তেল-সহ বিভিন্ন ধরনের খাদ্যসামগ্রী দুঃস্থ পরিবারগুলির হাতে তুলে দেন এবং পাশে থাকার আশ্বাস দেন। পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান জানিয়েছেন, এদিন আর্থিকভাবে দুর্বল পাঁচ করোনা আক্রান্তের পরিবারের হাতে খাদ্যসামগ্রী তুলে দেওয়া হয়েছে। জলপাইগুড়ি জেলা সংখ্যা ৩৮ জন।