নিজস্বপ্রতিনিধি,ঝাড়গ্রাম: হাড় কাঁপা শীতে কাঁপছে জঙ্গলমহল। মকর সংক্রান্তির আগে এলাকার দরিদ্র মানুষজনকে তাই কম্বল বিতরণ করল ঝাড়গ্রাম জেলা পুলিশ। ফের লালমাটির জঙ্গলমহলে প্রতিষ্ঠিত হলো পুলিশের মানবিক মুখ। সামনেই জঙ্গলমহলের(Jangalmahal) বড় উৎসব মকর সংক্রান্তি। আর সেই মকর সংক্রান্তির আগে জঙ্গলমহলের গরীব মানুষগুলির মুখে হাসি ফোটাতে ঝাড়গ্রামের গোপীবল্লভপুর- ২ নম্বর ব্লকের বেলিয়াবেড়া থানার তেঘরা গ্রামে বেলিয়াবেড়া থানার(Beliabera P.S.) পক্ষ থেকে বুধবার মোট ২৫০ জন দু:স্থ এবং বয়স্ক মানুষদের হাতে কম্বল তুলে দেওয়া হয়।
এছাড়াও কিছু খাদ্য সামগ্রী তুলে দেওয়া হয় বেলিয়াবেড়া থানার পক্ষ থেকে। এর আগেও পুলিশের পক্ষ থেকে ঝাড়গ্রাম জেলার বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন ধরনের কর্মসূচি নেওয়া হয়েছিল। দান অ্যাপ থেকে শুরু করে কম্পিউটার প্রশিক্ষণ এছাড়াও বিভিন্ন ধরনের কর্মসূচি নেওয়া হয়েছিল ঝাড়গ্রাম জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে। শুক্রবার এই কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন ঝাড়গ্রাম জেলার পুলিশ সুপার(SP) অরিজিৎ সিনহা, এডিশনাল এসপি(Add.S.P.) (হেডকোয়ার্টার) কল্যাণ সরকার, বেলিয়াবেড়া থানার ওসি(OC) সুদীপ পালোধী সহ অন্যান্য পুলিশ আধিকারিকরা। এদিনের এই সমগ্র অনুষ্ঠানটিকে সুন্দরভাবে সম্পন্ন হতে বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছিলেন বেলিয়াবেড়া থানার ওসি সুদীপ পালোধী।
প্রসঙ্গত উল্লেখ করা যেতে পারে, জঙ্গলমহলে দরিদ্র সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়াতে একের পর এক পদক্ষেপ গ্রহণ করছে সেখানকার প্রশাসন। গরিব এবং দরিদ্র শিশুদের পুষ্টিকর খাদ্য দেওয়ার পাশাপাশি, ছাত্র-ছাত্রীদের খাতা ,বই বিতরণ করা হয় স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে। একাধিক স্বাস্থ্য সহায়ক নানা কর্মসূচিও গ্রহণ করা হয় পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে। জঙ্গলমহলে প্রতিভাবানদের সুযোগ করে দিতে প্রশিক্ষণেরও ব্যবস্থা করা হয়। এর পাশাপাশি জনসংযোগকে নিবিড় করে গড়ে তুলতে শীতের দুপুরে জঙ্গলমহলে ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও খেলার আয়োজন করা হয়। উদ্দেশ্য একটাই সমস্ত রকম অন্য প্রলোভন থেকে জঙ্গলমহলের সহজ সরল সাদাসিধে মানুষগুলিকে একত্রিত করে সুস্থ সমাজ ব্যবস্থা গড়ে তোলা। ঝাড়গ্রাম জেলার বর্তমান পুলিশ সুপার দুষ্টের দমনে ও সৃষ্টের পালনে প্রশাসনের যে ভূমিকা হওয়া উচিত তার জন্যই একের পর এক সদার্থক ভূমিকা গ্রহণ করে চলেছেন।