নিজস্ব প্রতিনিধি, ঝাড়গ্রাম: ঝাড়গ্রাম জেলা পুলিশের তৎপরতায় ও সঠিক পরিকল্পনায় কালিয়াগঞ্জ এর পুনরাবৃত্তি হল না জঙ্গল মহলে। অথচ উপকরন সব কিছুই মজুত ছিলো জঙ্গলমহলে(Jangalmahal)। বন্ধের মূল কারনই ছিলো কুড়মি নেতাদের সাথে প্রশাসনের দুর্ব্যবহার, ও তাদের পিষেমারার হুশিয়ারির প্রতিবাদ সহ একাধিক ঘটনা। তাই যে কোনো ধরনের অপ্রিতিকর ঘটনা ঘটতেই পারতো। কালিয়াগঞ্জের(Kaliyaganj) ঘটনার পর কোনোরকম ঝুঁকি নিতে নারাজ ছিলেন ঝাড়গ্রাম জেলার এস পি(SP)।
আজ কুড়মি সম্প্রদায়ের ডাকা বনধ – এ বিশেষ স্ট্রাটিজি নেয় জেলা পুলিশ । আন্দোলনকারীদের তাই সকাল থেকেই নজরদারির ঘেরাটোপে নিয়ে নেওয়া হয়। ঝাড়গ্রাম(Jhargram) শহরে আইসির নেতৃত্বে যেখানেই আন্দোলনকারীরা জমায়েত হয়েছে সেখানেই পুলিশের দুটো গাড়ি উপস্থিত ছিল। বিশাল বাহিনি গোটা এলাকা জুড়ে রুট মার্চ করে। পেছনে আলাদা বাহিনি নিয়ে গাড়ির কনভয় এলাকা ডমিনেশন করে দিনভর। জঙ্গলমহলের যে কোনো আন্দোলনে মহিলাদেরকে যেহেতু সামনে রাখা হয়, তাই তা আটকাতে আসানসোল- দূর্গাপুর (Durgapur)থেকে আনা হয়েছে বিশেষ প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত মহিলা raff বাহিনি। জেলার সর্বত্র থানা এবং ফাঁড়িতে অতিরিক্ত বাহিনী মজুত রাখা হয়েছিলো। মজুত বাহিনিকে থানার ভেতরে না বসিয়ে বিভিন্ন মোড়, রাস্তায় রাখা হয়েছিলো। সিভিকদের সর্বত্র ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল খবর সংগ্রহের কাজে। যার ফল স্বরুপ বনধ- এর প্রভাব পড়লেও কোনো রকম অপ্রিতিকর ঘটনা এড়ানো সম্ভব হয়েছে।
আতঙ্কের বনধ বললেও পুলিশি তৎপরতায় স্বস্তি পেয়েছে সাধারন মানুষ। এদিকে কুড়মি সম্প্রদায়ের ডাকা বন্ধ- এ ঝাড়গ্রাম জেলায় বন্ধ এর প্রভাব পড়েছিল। অপ্রতিকর ঘটনার আশঙ্কায় দোকান, বাজার বন্ধ রেখেছিলেন ব্যাবসায়ীরা। স্বতস্ফুর্ত নয় আতঙ্কে বনধ(Strike) এমনটাই বক্তব্য ছিলো তাদের। তবে বনধকে ঘিরে যে কোনো ধরনের অপ্রিতিকর ঘটনা এড়াতে ব্যাপক পুলিশি নিরাপত্তা ব্যাবস্থা করা হয়েছিল। সমস্ত যান চলাচল বন্ধ ছিল। সরকারি বাস চললে সেটাও কুড়মি সদস্য রা বন্ধ করে দিয়েছিল। এসটি র অন্তর্ভুক্তির দাবিতে ঘাঘর ঘেরা কর্মসূচীতে কুড়মি নেতাদের সাথে আলোচনার নামে, তাদের ডেকে অসম্মান, হুমকি র প্রতিবাদে আজ এই ১২ঘন্টার(12Hours) বনধ ডেকেছিল তারা।