নিজস্ব প্রতিনিধি: বাংলার দুই মাও নেতা-নেত্রীকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিল ঝাড়খণ্ডের জামশেদপুর আদালত। সিপিআই (মাওবাদী)-র আঞ্চলিক কমিটির সদস্য মদন মাহাতো ওরফে শংকর ও পুষ্পা ওরফে বর্ষা ওরফে শকুন্তলা ওরফে পরিকে আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আত্মসমর্পণ না করলে সমস্ত সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হবে বলে নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে।
মঙ্গলবার দুই মাও নেতা ও নেত্রীর বাড়িতে ঝাড়খণ্ড পুলিশের তরফে লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে আদালতের সেই নির্দেশিকা। এদিন ঝাড়খণ্ড পুলিশ পশ্চিম মেদিনীপুরের শালবনী থানা ও ঝাড়গ্রামের বেলপাহাড়ি থানার পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে দুজনের বাড়িতে এই নির্দেশিকা লাগিয়ে দিয়ে যায়।
প্রসঙ্গত বাংলার শীর্ষ মাও নেতা মদন মাহাতোর বাড়ি পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার শালবনি থানার করমাশোল গ্রামে। আর শকুন্তলার বাড়ি ঝাড়গ্রামের বেলপাহাড়ি থানা এলাকার মেচুয়া গ্রামে। ঝাড়খণ্ডের পটমদা থানার পুলিশ এদিন ওই নির্দেশিকা সাঁটিয়ে দিয়ে যায়। নির্দেশিকায় বলা হয়েছে এক মাসের মধ্যে আত্মসমর্পণ না করলে তাঁদের সমস্ত সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হবে। নির্দেশিকা লাগানোর পাশাপাশি এদিন এলাকায় ডুগডুগি বাজিয়ে ঘোষণাও করে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শকুন্তলা ওরফে পুষ্পা সিপিআই (মাওবাদী)-র স্পেশ্যাল এরিয়া কমিটির সদস্য অতুল মাহাতোর স্ত্রী। ঝাড়খন্ডের পটমদা থানায় ২০১৬ সালের জুলাই মাসে মদন মাহাতোর নামে একটি মামলা হয়েছিল। মাওবাদী নেতা মদন ফেরার থাকায় আদালত এই নির্দেশিকা জারি করেছে। মাওবাদী নেত্রী পুষ্পার নামেও মামলা রয়েছে ঝাড়খণ্ডে।
প্রসঙ্গত এর আগে সিপিআই (মাওবাদী)-র কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য অসীম মণ্ডল ওরফে আকাশের নামে আত্মসমর্পণ করার জন্য নির্দেশিকা জারি করেছিল ঝাড়খণ্ডের আদালত। কিষেনজির মৃত্যুবার্ষিকীর আগে দুই মাও নেতা-নেত্রীকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ ঘিরে তৈরি হয়েছে জল্পনা।