এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

দেব -দেবীকে নতুন বস্ত্র বানিয়ে পরালেও, জোটে না নতুন জামাকাপড়

নিজস্ব প্রতিনিধি,কালিয়াগঞ্জ: উৎসব প্রিয় বাঙালীর মনে আনন্দের উচ্ছ্বাস। মন্ডপে মন্ডপে ঘুরে দশভূজার মনমোহিনী রূপ দেখে অভিভূত হবে সকলেই। মায়ের এই সৌন্দর্যতা ফুটিয়ে তুলবেন মৃৎশিল্পীদের সাথে সাথে মালাকার শিল্পীরাও। শুধু মাত্র প্রতিমা বা মন্ডপ নির্মান বা আলোকসজ্জা নয়। শারদীয়ার অন্যতম আকর্ষন দেবী অলংকারও। তাই এখন মালাকার শিল্পীদের ব্যস্ততা তুঙ্গে। সংসারে অভাব থাকলেও দুর্গারপ্রতিমার সৌন্দর্যেএ ছটা ফুটিয়ে তুলতে দিনরাত কাজ চলেছেন তারা। জমকালো বুলন সেটের সাজে দেবীর উজ্জ্বলতা যেন বৃদ্ধি পায় বহুগুন। এইসব সাজ তৈরীতে এখন বেজায় ব্যস্ত উত্তর দিনাজপুর জেলার কালিয়াগঞ্জের পৌর এলাকার(Kaliyaganj Municipality) দক্ষিন আখানগর শিল্পী সুনীল মালাকার ও তার পরিবার।

দুর্গা কৈলাশ থেকে কতটা সেজেগুজে আসেন তা নিয়ে শান্ত্রে দ্বিমত থাকতেই পারে। মর্তে দেবীকে অলংকারে সাজানোর দায়িত্বে মালাকার শিল্পীদের। জলাজমিতে নেহাতই অবহেলায় জন্মানো শোলা গাছের কান্ড শুকিয়ে নানান ডিজাইনে কেটে তৈরী হয় দেবীর অলংকার। আর সেই অলংকার ভূষিতা দেবীকে দেখতে যখন মন্ডপে মন্ডপে ভীড় জমান দর্শনার্থীরা, তখনও এই শিল্পীদের পরিবার ব্যস্ত থাকে শোলার অলংকার নির্মানে। পুজোর আগে তাই এখন ভীষন ব্যস্ত শোলা শিল্পীরা। বর্তমান অগ্নিমূল্যের বাজারে পাল্লা দিয়ে প্রাপ্য লাভটুকুও হাতে এসে পৌছায় না বলে জানান বলেন ৮৩ বছরের বর্ষীয়ান প্রবীণ শিল্পী সুনীল মালাকার । এই কাজ তাঁদের পিতৃপুরুষেএ আমল থেকে চলে আসছে। এই শোলা গুলি আনতে হয় জেলার ইটাহার ব্লক থেকে। পাশাপাশি শিল্পীরা আরও জানান যুগ যুগ ধরে দেবীর অলংকার তৈরী করি। পুজোর আগে শিল্পীমনের আবেগকে সঙ্গী করে দেবীর অলংকার তৈরীতে বেজায় ব্যস্ত বুলন সেট শিল্পীরা। শুধু প্রবীনেরাই নয়, এই শিল্পের উত্তরাধিকার বহন করে চলেছে শিল্পীদের নতুন প্রজন্মও। তাঁদের হাতের তৈরী শোলার অলঙ্কারগুলি শুধু এই জেলায় নয় পাশের জেলা সহ ভিন রাজ্যে যায়। পাইকারেরা কিংবা মৃৎশিল্পীরা এসে শোলার তৈরী দেবীর অলঙ্কার গুলি নিয়ে যায়।

শিল্পী সুনীল মালাকার(Sunil Malakar) আরোও জানান, তাদের পূর্বপুরুষদের এই পেশাগত কাজ মালাকার শিল্প। সারা বছর নানা ধরনের কাজ করলেও এই সময় তা নানাধরনের বুলন সেটের কাজ করেন। দূর্গা পূজার সময় চাহিদাটা বেশি ,তাদের হাতের তৈরী বুলন সেট গুলি পাশের রাজ্য বিহার থেকে শুরু করে উত্তর দিনাজপুর জেলার বিভিন্ন প্রান্তে যায়। তবে যে ধরনের পরিশ্রম করতে হয় তাদের সেই পরিমান অর্থ উপার্জন নেই। তবু তারা কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।এদিকে সুনীল মালাকারের সহধর্মিনী মায়া মালাকার জানান সংসারের সমস্ত কাজ মিটিয়ে যতটা সময় পান তা তিনি তার স্বাামীকে সহযোগীতা করেন। তিনি দুঃখের সাথে বলেন ,দেব দেবীকে নতুন বস্ত্র বানিয়ে পরালেও তাদের কপালে জোটে না পূজোর সময়ে নতুন বস্ত্র। তবুও পেটের তাগিদে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন । কারন কাজটা করতে তাঁদের ভালো লাগে। যতদিন বেচে থাকবেন ততদিন কাজ চালিয়ে যাবেন তাঁরা।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

নদীয়ার কৃষ্ণগঞ্জে মুকুটমণির হয়ে প্রচারে দেব

বাংলায় ইন্ডিয়া জোট না হওয়ার দায় অধীরের ঘাড়ে চাপালেন অভিষেক

মোবাইল চুরি চক্রের পর্দা ফাঁস নিউ ব্যারাকপুর থানার

কেন লকেটের বিরুদ্ধে ‘অনভিজ্ঞ’ রচনা, খোলসা করলেন মমতা

বঙ্গে রবিবার পর্যন্ত চলবে ঝড়-বৃষ্টি, আগামী সপ্তাহে ফের বাড়তে পারে তাপমাত্রা

উচ্চ মাধ্যমিকে জেলায় জেলায় এবার নজর কাড়া ফলাফল বাংলার কন্যাশ্রীদের

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর