নিজস্ব প্রতিনিধি,কালিয়াগঞ্জ: সোমবার কালিয়াগঞ্জ- এ নতুন করে যে উত্তপ্ত পরিস্থিতি সৃষ্টি হয় তার পেছনে কে এলও জঙ্গিরা রয়েছেন। সুপরিকল্পিতভাবে তারা আগুন ধরিয়ে দেয় থানার মধ্যে একটি ঘরে। পরিকল্পিতভাবে থানা আক্রমণের ছক কষে জঙ্গিরা। সোমবার ছাত্রী মৃত্যুর ঘটনাকে সামনে রেখে কামতাপুরী আদিবাসীদের বিক্ষোভ প্রদর্শন চলছিল কালিয়াগঞ্জ(Kaliyaganj ) এলাকায়। অত্যন্ত ছোট একটি জেলা। তাই এই বিক্ষোভকে কেন্দ্র করে অশান্তি ঠেকাতে পুলিশের নিরাপত্তা বেষ্টনী তৈরি হয়েছিল। কিন্তু সুপরিকল্পিতভাবে কালিয়াগঞ্জ এর বিভিন্ন গলি থেকে থানা আক্রমণের ছক কষে জঙ্গিরা।
বিক্ষোভকারীদের ভিড়ে মিশে গিয়ে পুলিশকে লক্ষ্য করে ছোড়া হয় ইট, পাথর এবং বোমা। বিভিন্ন গলি থেকে পুলিশকে আক্রমণ করে পিছু হটতে বাধ্য করা হয়। শুধু তাই নয় বিক্ষোভকারীদের লাঠি উচিয়ে পুলিশ তাড়া করলে, বিভিন্ন বাড়ির ছাদ থেকে পুলিশ ফোর্স এর ওপর ছোড়া হয় কাচের বোতল ও ইট। পুলিশ ধৈর্যের পরীক্ষা দিয়ে কাঁদোনে গ্যাসের সেল ছুঁড়তে শুরু করে। প্রথমদিকে পুলিশ ফোর্স কম থাকায় উন্মুক্ত জনতাকে রুখতে পুলিশকে কিছুটা পিছু হটতে হয়। সেই সুযোগে জঙ্গিরা উন্মুক্ত জনতাকে নিয়ে থানার ভেতরে প্রবেশ করার চেষ্টা করে। যদিও পুলিশ সেই অভিসন্ধি বুঝতে পেরে তৎক্ষণাৎ জল কামান ব্যবহার করে। পুলিশ ফোর্স (Police Force)এর উপস্থিত বুদ্ধিতে রক্ষা পায় কালিয়াগঞ্জ থানা। গোয়েন্দাদের দাবি জঙ্গিরা থানার ভেতরে ঢুকে আগুন লাগাবার ছক কষে ছিল। তাতে তারা সফল হয়। তবে বিশাল অংশে ভাঙচুর ও আগুন লাগানোর চেষ্টা করলেও বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করে জল কামান থেকে জল ছুড়ে যারা থানার মধ্যে যারা ঢুকে পড়েছিল তাদের হটাতে সক্ষম হয় পুলিশ।
মুখে রুমাল বেঁধে যে বহিরাগতরা(Outsiders) এদিন বিক্ষোভকারীদের ভিড়ে ঢুকে হামলা করে থানা লুটপাটের ছক কষে তারা পুলিশের বাধার মুখে পড়ে পিছু হটতে বাধ্য হয়। তবে যাওয়ার আগে তারা থানার মধ্যে থাকা একটি ছাউনিতে আগুন ধরিয়ে দেয়। থানা লক্ষ্য করে তারা ব্যাপকভাবে ইট- পাটকেল ছড়ে আদিবাসী মানুষদেরকে সঙ্গে রেখে। গোয়েন্দাদের স্পষ্ট দাবি কালিয়াগঞ্জের ছাত্রী মৃত্যুর ঘটনাকে সামনে রেখে কে এলও জঙ্গিরা আইন-শৃঙ্খলার অবনতি ঘটবার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে।