নিজস্ব প্রতিনিধি,কৃষ্ণগঞ্জ: নীল ষষ্ঠীর পূর্ণ তিথিতে মহাদেব স্বয়ং আবির্ভূত হলেন ভক্তদের মাঝে নদিয়ার কৃষ্ণগঞ্জে।এলাকায় ভক্তদের ঢল, চলল পুজো।রবিবার নীল ষষ্ঠী(Nil Sasthi) উৎসব প্রিয় বাঙালির বারোমাসে তেরো পার্বণের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ব্রত হল নীল ষষ্ঠীর ব্রত । প্রত্যেক ঘরে ঘরে মায়েরা তাদের সন্তানদের মঙ্গলের জন্য নীল ঠাকুরের উপবাস রাখেন। এবং শিবের মাথায় জল ঢালার পর ফল মিষ্টান্ন ধুপ দ্বীপ সহযোগে তার পূজার সম্পন্ন করার পর উপবাস ভঙ্গ করেন প্রত্যেকে । নীল হল দেবাদিদেবের এক লৌকিক রূপ মনে করা হয়।

নীল ষষ্ঠির উপবাস করলে প্রত্যেক মায়ের কোল সন্তান আলো করে থাকবে সকল বাধা বিঘ্ন থেকে নীল দেবতা রুপি মহাদেব (Mahadev)তাকে রক্ষা করবে।সেই বিশ্বাস থেকেই প্রাচীন কাল থেকে বাংলার প্রতি ঘরে ঘরে নীল ষষ্ঠী ব্রত মহা ধুমধাম করে উদযাপন হয়ে আসছে। তাই বলাই বাহুল্য এই নীল ষষ্ঠী বাঙ্গালীদের কাছে খুবই তাৎপর্যপূর্ণ একটি তিথি। আর আজ এই বিশেষ পুণ্য লগ্নে নদিয়ার কৃষ্ণগঞ্জের মাজদিয়ার(Majdia) ভাজন ঘাট নলেন গুরের ফ্যাক্টরির সামনে একটি গাছের নিচে দেবাদিদেব মহাদেবের শিলা রূপ উদ্ধারকে ঘিরে রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়াল ।স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে স্থানীয় এক বাসিন্দার কথায় জানা যায়, তিনি গরু চড়াতে এসে ওই স্থানে সর্পের উপস্থিতি দেখতে পান। তার সন্দেহ হওয়ায় সেই আগাছার সড়িয়ে দেখতে পান সেখানে দেবাদিদেবের একটি শিলা রূপ বিদ্যমান রয়েছে।

মুহূর্তের মধ্যেই কথাটি চাউড় হয়ে পড়ে এলাকাবাসীদের মধ্যে ।স্থানীয় মানুষদের পাশাপাশি আশেপাশের এলাকার মানুষ রাও দলে দলে এসে ভিড় করে ওই স্থানে ।রবিবার নীল ষষ্ঠীর পুণ্য লগ্নে দেবাদিদেব মহাদেবের আবির্ভূত হওয়ার এই ঘটনায় রীতিমতো উচ্ছ্বসিত এলাকাবাসী তারা অবিলম্বে সেই স্থানে পূজা দিতে শুরু করেন। এলাকাবাসীদের একাংশের দাবি ওই স্থানে বহু কাল আগে পূজা হতো ।কালের নিয়মে সেই মন্দির হারিয়ে গেলেও মহাদেবের ইচ্ছায় তিনি আবার উদয় হলেন ভক্তদের মাঝে। এই লিঙ্গ দেখতে কাতারে কাতারে ভিড় করছেন সাধারণ মানুষ ।