নিজস্ব প্রতিনিধি: কুমারী পুজোতে মুসলিম কন্যা। বরাবরের মত এবছরেও নজির গড়ল চুঁচুড়ায় ঝিঙেপাড়ার সারদা রামকৃষ্ণ সেবাশ্রম। তারা মানেন রামকৃষ্ণ দেবের তত্বে। তাই ধর্মের ভেদাভেদ ভুলে মুসলিম ধর্মের কন্যাকে দিয়েই কুমারী পুজো করেন তারা। অষ্টমী তিথিতে এই পুজোর রীতিতে চলতি বছরেও অন্যথা হয়নি। বুধবার হুগলির চুঁচুড়ার ওই আশ্রমে ছোট্ট সাহেবাকে কুমারী রূপে পুজো করা হয়। এর আগে ওই জায়গায় বসত তাঁর দিদি।
চলতি বছরে কুমারী পুজোর রীতি অনুযায়ী তাঁর দিদির বয়স পার হয়ে যাওয়ায় মুসলিম কন্যা তাঁর বোনকেই পুজো করা হয়েছে মাতৃরুপে। আশ্রমের তরফে স্বামী দুর্গাত্মানন্দ মহারাজ জানিয়েছেন, ‘আমরা রামকৃষ্ণের মতে পুজো করি। তাই ধর্মের বিভেদ করি না।’ মহারাজের কথায়, ‘অষ্টমী-নবমীর সন্ধিক্ষণে মহিষাসুর বিজয়ের পর দেবতারা মা দুর্গার বন্দনা করেছিলেন। দীর্ঘ দিন ধরে আমাদের আশ্রমে কুমারীদের সেই মা দুর্গার কল্পনাতেই পুজো করা হয়। আমরা শ্রীরামকৃষ্ণের তত্ত্বের অনুসারী। ফলে কোনও ধর্মীয় ভেদাভেদ মেনে চলি না। আমাদের মঠে হিন্দু-মুসলিম নির্বিশেষে কাজ করা হয়। এই কুমারী আজ আমাদের কাছে মা দুর্গা। অর্থাৎ মৃন্ময়ী প্রতিমার চিন্ময়ী রূপ।’
মুসলিম কন্যাকে কুমারী রূপে পুজা করার প্রসঙ্গে মহারাজ জানিয়েছেন, ‘কাশ্মীরে এক মুসলিম মেয়েকে কুমারী রূপে প্রথম পুজো করেছিলেন স্বামী বিবেকানন্দ।’ আশ্রমের পুজোয় ছোট মেয়েকে কুমারীর আসনে দেখে খুশি সাহেবার বাবা মহম্মদ আজহারউদ্দিন। তিনি জানিয়েছেন, ‘মেয়ের পাঁচ বছর বয়স হবে। আগে কুমারীপুজোয় ওর দিদিকে বসানো হত। এ বার আমার ছোট মেয়ে সে আসনে বসেছে।’