নিজস্ব প্রতিনিধি: সভার জবাব পাল্টা সভায়। বিজেপির সভার ৩ দিনের মাথায় রানাঘাটে সভা করল তৃণমূল। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে (SUVENDU ADHIKARY) পাল্টা দিলেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ (KUNAL GHOSH)। সেই সভা থেকে বিজেপিকে আক্রমণ করার পাশাপাশি আদি বিজেপিকে সতর্ক করলেন কুণাল।
এদিন তিনি বলেন, ‘এই বিজেপি ভেজাল বিজেপি’। তারপরেই বলেন, ভেজাল বিজেপিকে হিন্দুত্বের এজেন্সি দেওয়া হয়নি। কুণালের বক্তব্য, বাংলায় হিন্দুত্ব মানে শ্রী চৈতন্য, শ্রী রামকৃষ্ণ, স্বামী বিবেকানন্দের হিন্দুত্ব। সেই ধর্ম শেখায় মানুষে মানুষে মিলন। কুণালের হুঁশিয়ারি, ‘বাংলায় বিভেদের হিন্দুত্বের কোনও স্থান নেই। মিলনের হিন্দুত্ব আছে’। বিজেপিকে অশুভ শক্তি বলেও কটাক্ষ করেন তিনি। পঞ্চায়েত নির্বাচনের দামামা বাজিয়ে বলেন, শুভ শক্তি তৃণমূলের হাত শক্ত করতে জোড়াফুল প্রার্থীকে ভোট দেওয়ার জন্য। কটাক্ষ করেন, বাম-রাম জোট নিয়েও। তাঁর বক্তব্য, ‘সিপিএমের অতৃপ্ত আত্মা বিজেপিতে ভর করেছে’। বলেন, প্ররোচনা দিতে এলে পকেটে যেন বাম এবং রাম শিবিরের লোক স্বাস্থ্যসাথী কার্ড রাখেন। এরপরেই কুণালের হুঁশিয়ারি, মেরে হাত গুঁড়িয়ে তারপর চিকিৎসা করে বাড়ি পাঠাব।
গেরুয়া শিবিরকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে কুণালের বক্তব্য, বাংলা ভাগ, প্রাপ্য টাকা আটকানো এবং কুৎসার রাজনীতি করে বিজেপি। বলেন, বাংলার ভালো চায় না বিজেপি। এরপরেই আদি বিজেপি’র প্রতি সতর্কবার্তা দেন তৃণমূল মুখপাত্র। রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, নাম না করে আসলে শুভেন্দুকেই আক্রমণ শানিয়েছেন কুণাল।
এদিন তিনি বলেন, ‘আদি বিজেপিদের একটা কথা বলতে চাই। আপনাদের সঙ্গে আমাদের আদর্শগত পার্থক্য আছে। কিছু সুবিধাবাদী ইডি- সিবিআই থেকে বাঁচতে বিজেপিতে নাম লিখিয়ে দল হাইজ্যাক করার চেষ্টা করছে। কুণালের বার্তা, ওঁরা বিজেপিতে ছড়ি ঘোরালে ভালো লাগবে তো? এরপরেই তৃণমূল মুখপাত্রের প্রস্তাব, ‘দলবদলু’দের তৃণমূলের হাতে তুলে দেওয়া হোক। বাকি সব সবুজ শিবির বুঝে নেবে।