এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

দিব্যেন্দু অধিকারী বউয়ের ভোট চাই, বঙ্গজননীদের কর্মসূচি দিলেন কুণাল

নিজস্ব প্রতিনিধি: রাজনীতি এক এমন বস্তু যেখানে শেষ কথা বলে কিছু হয় না। সেখানে রাতারাতি মিত্র চরম শত্রু হয়ে যায় আবার চরম শত্রু হাসতে হাসতে মিত্র হয়ে যায়। তৃণমূল(TMC) আর অধিকারীদের মধ্যে বোধহয় এখন সেই দেওয়ানেওয়ার পালাই চলছে। মুচকি হেসে অনেকে আবার বলছেন, সবটাই ঘর ওয়াপ্সির তোড়জোড়। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Mamata Banerjee) ডাকে সাড়া দিয়ে রাজ্য বিধানসভা ভবনে শুভেন্দু অধিকারীর(Suvendu Adhikari) চা-চক্রে যোগদানের পর থেকেই এই সৌজন্যের আবহ চোখে পড়ছে। কাঁথির(Contai) সাংসদ শিশির অধিকারীর ছেলে তথা তমলুকের সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারী(Dibendu Adhikari) যেমন তাঁদের বাড়ি শান্তিকুঞ্জে তৃণমূলের অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে চায়ের নিমন্ত্রণ জানিয়েছেন, তেমনি রবি সকালে তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ(Kunal Ghosh) শান্তিকুঞ্জ থেকে কয়েক কদম দূরে দলের এক চা চক্রে যোগ দিয়ে বঙ্গজননীদের নির্দেশ দিলেন দিব্যেন্দু অধিকারীর বউয়ের ভোট যাতে তৃণমূল পায় সেটা এখন থেকেই তাঁদের দেখতে হবে।

আরও পড়ুন মমতার বিদেশ সফরে আর বাধা দেবে না মোদি সরকার

আগামী বছরেই রাজ্যে ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে চলেছে। সেই নির্বাচনে গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রায় অর্ধেক আসনেই মহিলাদের প্রার্থী করতে পারে তৃণমূল। ঠিক তার আগে রবিবার সকালে পূর্ব মেদিনীপুরের অন্যতম মহকুমা শহর তথা অধিকারীদের নিজেদের গড় কাঁথির বুকে একটি চা-চক্রে যোগ দেন কুণাল। সেই চা-চক্র থেকেই তৃণমূলের বঙ্গজননী বাহিনীকে বিশেষ দায়িত্ব দিলেন দলের রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষ। বাড়ি বাড়ি গিয়ে রাজ্য সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্পের কথা তুলে ধরতে বললেন তিনি বঙ্গজনীদের। সেই সঙ্গে বিরোধীদের বাড়ির ভিতর থেকে তাঁদের মহিলাদের ভোট যাতে শাসক দলের দিকে টেনে আনা যায়, সেই বিষয়ে উদ্যোগী হওয়ার বার্তা দিলেন কুণাল। আর সেই কাজ শুরু করার জন্য তিনি আবার শান্তিকুঞ্জেি সবার আগে যেতে বললেন বঙ্গজননীদের। সঙ্গে এটাও বলে দিলেন সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারীর স্ত্রীর কাছ থেকেই সেই ভোট চাওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে।  

আরও পড়ুন ১০০দিনের কাজের প্রকল্পে পরিবর্তন আনছে মোদি সরকার

কুণাল এদিন বলেন, ‘যাঁরা আমাদের ভোট দেননি তাঁদের থেকে দূরে যাবেন না। তাঁদের বাড়ির মহিলাদের সঙ্গে কথা বলুন। মহিলারা বেশি করে দায়িত্ব নিন। কারণ, বাড়ির ভিতর ঢুকে ওদের ভোটটা বের করে আনতে হবে। দিব্যেন্দু অধিকারীর বউকে দিয়ে শুরু করুন।’ যদিও পরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে সাংসদের বউয়ের ভোট প্রসঙ্গটিকে একটি ‘প্রতীকী কথা’ হিসেবে ব্যাখ্যা করেন কুণাল। বলেন, ‘ওটা তো একটা প্রতীকী কথা। সরকারের বিভিন্ন প্রকল্প, যেগুলির মাধ্যমে মহিলারা দারুনভাবে উপকৃত হন, সেগুলি নিয়ে বাড়ি বাড়ি যাওয়া হবে। যাঁরা তৃণমূল কংগ্রেসের চিহ্নিত পরিবার, তাঁদের কাছেও যেমন যাবেন, তৃণমূলের বর্ষীয়ানদের কাছেও যেমন যাবেন, তেমন যাঁরা একটু দ্বিধার রাজনীতির মধ্যে পড়ে রয়েছেন, তাঁদের কাছেও যাবেন। সেটি আমি কথায় কথায় বলেছি। আমি যেটুকু শুনেছি দিব্যেন্দুর স্ত্রীও অত্যন্ত যুক্তিসম্মত কথাবার্তা শোনেন। তিনিও তো একজন সাংসদের স্ত্রী। শিশিরবাবুর স্ত্রীও একজন সাংসদের স্ত্রী। তাহলে আমাদের মহিলারা তাঁদের সঙ্গে দেখা করে প্রকল্পগুলি বোঝাবেন। শুধু তো তাঁরা নন, এটা একটি প্রতীকী, একেবারে সাংসদ থেকে শুরু করে পাড়ার মহিলারা, সকলের কাছে গিয়ে তাঁরা বোঝাবেন। এর মধ্যে কোনও ঝগড়া নেই, কোনও কটাক্ষ নেই, এটি একটি কর্মসূচি। তাঁরা আমাদের দলের প্রতীকে নির্বাচিত। ফলে আমাদের দলের মহিলা কর্মীরা বা বঙ্গজননী যদি তাঁদের সঙ্গে দেখা করতে চান, তাহলে কী অন্যায় আছে? তাঁরাও তো কাঁথির মহিলা এবং সম্মানীয়। তাঁরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রকল্পের সুবিধাগুলি পাচ্ছেন কি না… মহল্লায় যেমন যাওয়া হবে, তেমনই জনপ্রতিনিধিদের বাড়িতেও যাওয়া হবে। এতে কী অন্যায় আছে? তাঁরা কেউ দলের পতাকা নিয়ে যাচ্ছেন না, প্রকল্পগুলি নিয়ে যাচ্ছেন।’ যদিও সব দেখে শুনে সবাই এখন মুচকে মুচকে হাসছেন। দিন গুণছেন মধুরেণ সমাপ্তির প্রহরটিকে চাক্ষুষ করার জন্য।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

মহিলা তৃণমূলকর্মীকে গণধর্ষণ, গ্রেফতার ৩ বিজেপি কর্মী

ডায়মন্ড হারবার ও আনন্দপুর থানার ওসিকে সরিয়ে দিল নির্বাচন কমিশন

উত্তরপাড়ার মাখলাতে দৃষ্টিহীনদের মাধ্যমিক পরীক্ষায় নজর কাড়া ফলাফল

রাস্তা পার হতে গিয়ে প্রখর রৌদ্রে মাথা ঘুরে লরির তলায় পড়ে মৃত্যু বৃদ্ধের

রাজভবনের অন্দরে ওঠা অভিযোগ প্রসঙ্গে রাজ্যপালের বিরুদ্ধে সরব সায়নী ও লাভলী মৈত্র

কৃত্রিম বৃষ্টি রামনগরের স্কুলে! গরম থেকে মুক্তি পেতে আনন্দ নিকেতন স্কুলে অবাক করা কান্ড

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর