নিজস্ব প্রতিনিধি লেকটাউন: চোরের রিসিভার গ্রেফতার। লেকটাউন থেকে বেলগাছিয়া সমস্ত চোরের পকেটে চিরকুটের মাধ্যমে নাম্বার থাকে যে রিসিভারের তাকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হল পুলিশ। লেকটাউনে(Laketown) গ্রেপ্তার চোরের রিসিভারের নাম শেখ নিজামউদ্দিন ।লেক টাউন থেকে শুরু করে দক্ষিণদাঁড়ি এবং বেলগাছিয়া(Belgachia) অঞ্চলে যে সমস্ত চোরের দল চুরি করত, তাদের পকেটে চিরকুটের মাধ্যমে নাম্বার থাকতো রিসিভার শেখ নিজামউদ্দিনের।
চুরি করার পরেই চোরের দল নির্দিষ্ট কাছাকাছি কোন এস টি ডি বুথের নাম্বার থেকে ফোন করতো রিসিভার শেখ নিজামুদ্দীনকে এবং জানাতো এই এই জিনিস চুরি করতে পেরেছে। এরপরই শেখ নিজামুদ্দিন একটি জায়গা বলে দিত সেখানে চলে আসতো সেই চোরের দল এবং তাদের কাছ থেকেই চুরি করা সমস্ত জিনিস টাকা দিয়ে কিনে নিত শেখ নিজামুদ্দিন। লেকটাউন এলাকায় একাধিক চুরির ঘটনা তদন্ত নামে লেকটাউন থানার(Laketown P.S.) পুলিশ ।এরপরই পুলিশের পক্ষ থেকে তিনজন চোরকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই এই রিসিভার শেখ নিজামুদ্দিনের নাম উঠে আসে। পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদে জানতে পারে চুরি করার পরে কোন পদ্ধতিতে বিক্রি করে দেওয়া হতো চুরি যাওয়া মালপত্র।
ইতিমধ্যেই সাতটি মোবাইল ফোন(Mobile Phone) পুলিশ উদ্ধার করতে পেরেছে। পাশাপাশি লেকটাউন থানার পুলিশের পক্ষ থেকে শেখ নিজামুদ্দিনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানতে পেরেছে সেই সমস্ত মাল সৌদি আরব না হলে বাংলাদেশে পাচার করে দিত সে। লেকটাউন থানায় লেখা একাধিক জায়গা চুরির ঘটনা ঘটেছিল সেই চুরির ঘটনার কিনারা করতে পুলিশকে একাধিক সমস্যা সম্মুখীন হতে হয়েছিল। কারণ নির্দিষ্ট কোন নাম্বার থেকে ফোন করা হতো না। ফলে চোরের দলকে যেমন ধরতে অসুবিধার মধ্যে পড়তে হচ্ছিল পাশাপাশি এই রিসিভারের সন্ধান কোনোভাবে পাওয়া যাচ্ছিল না । তার কারণ নির্দিষ্ট কোন মোবাইল ফোনের মাধ্যমে চুরি করার পরে চোরের দল কার সাথে যোগাযোগ করত না এসটিডি(STD) নাম্বারের মাধ্যমে যোগাযোগ করত পুলিশের পক্ষ থেকে তা জানতে রীতিমত বেগ পেতে হয়। আজ অভিযুক্ত নিজাম উদ্দিনকে আদালতে পেশ করা হয় এবং নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানানো হয়। মনে করা হচ্ছে আন্তর্জাতিক পাচার চক্রে এই নিজামুদ্দিনের যোগসূত্র আছে। তার জন্যই ধৃতকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে ফের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করবে লেকটাউন থানা।