নিজস্ব প্রতিনিধি: সারা জীবন ধরে রাস্তার ধারে ভিক্ষা। লোকের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভিক্ষা। দিন কাটাতেন লোকের দেওয়া খাবার খেয়েই। পরণের বস্ত্রও ছিল মলীন। অথচ তিনি চোখ বুজতেই তাঁর ঘর থেকে উদ্ধার হল কয়েক লক্ষ টাকা, তাও নগদে। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনা ঘটেছে উত্তর দিনাজপুর(Uttar Dinajpur) জেলার ইসলামপুরIIslampur) পুরসভার ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে। মৃত ভিখারিণীর(Begger) নাম কণিকা মোহন্ত। তাঁর বাড়ি ইসলামপুর পুরসভার ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের লোকনাথ কলোনি এলাকায়। দিন পাঁচেক আগে মৃত্যু হয় তাঁর। কণিকার সঙ্গে তাঁর আর এক বোন মণিকা দাস এবং তাঁদের বৃদ্ধা মাও থাকতেন। কণিকার দাদা বাবলু ইসলামপুর শহরেই অন্যত্র থাকেন। যদিও বোন মারা যাওয়ার পরে তাঁর কুঁড়ে ঘর থেকে ৩ ট্রাঙ্ক(Trunk) ভর্তি টাকা পাওয়া যাওয়ার খবর পেয়ে দ্রুত চলে আসেন। তাঁর সামনেই শুরু হয় টাকা গোনার কাজ। অনুমান করা হচ্ছে, তিনটি ট্রাঙ্কে সব মিলিয়ে কয়েক লক্ষ টাকা রয়েছে।
এদিন কণিকার দাদা জানিয়েছেন, ‘আমার বোন ভিক্ষা করে টাকা উপার্জন করত। বাইরে খাওয়াদাওয়া করত। আমি নিজেও গরিব। অসুস্থও বটে। এই টাকা আমি নিজে নেব না। এই টাকার কিছুটা ব্যাঙ্কে রাখব। বাড়িটা সংস্কার করব। বোনের শ্রাদ্ধশান্তিও করতে হবে। আর এ দিয়ে আমার মায়ের চিকিৎসা করাব।’ তবে এই ঘটনায় সব থেকে বড় প্রশ্ন হচ্ছে, কণিকা নিজে যেখানে এত টাকা জমাতে সক্ষম হয়েছিলেন তখন কেন ভিক্ষা করে দিন কাটাছিলেন আর কেনই বা নিজের চিকিৎসা করাননি। যদিও এলাকাবাসীর দাবি, কণিকাও তাঁর পরিবারের সকলেই কিছুটা হলেও মানসিক ভারসাম্যহীণ। আর তার জেরেই মোটা টাকা জমিয়েও তা ট্রাঙ্ক কিনে বাড়িতেই রেখে দিয়েছিলেন। ওই টাকা ব্যাঙ্কেও জমা করেননি। নিজে কোনও সুখ কেনার চেষ্টাও করেননি।