নিজস্ব প্রতিনিধি: আগামী ৩০ অক্টোবর অর্থাৎ পুজোর পরই বাংলার চার বিধানসভা আসনে উপনির্বাচন। অথচ বঙ্গ বিজেপির তারকা প্রচারকের তালিকায় নাম নেই কোনও হেভিওয়েট কেন্দ্রীয় নেতার, নেই কোনও বলি-টলি তারকাও। সদ্য সমাপ্ত ভবানীপুর উপনির্বাচনেও যেখানে কয়েকজন কেন্দ্রীয়মন্ত্রী এসেছিলেন প্রচারে। কিন্তু বাকি চারটি উপনির্বাচনে নাম নেই তাঁদের বেশিরভাগেরই। শুক্রবারই বঙ্গ বিজেপি ২০ জনের তারকা প্রচারকের তালিকা প্রকাশ করেছে। বঙ্গ রাজনীতির বিশ্লেষকরা এই তালিকা দেখে হতাশ। পাশাপাশি বিজেপি কর্মী সমর্থকরাও হতাশ।
তালিকায় রয়েছেন, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি, গিরিরাজ সিংহ এবং প্রতিমা ভৌমিক। একমাত্র স্মৃতি ইরানির সঙ্গেই বাংলার যোগ রয়েছে। হেভিওয়েট প্রচারক বলতে একমাত্র অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা। তিনি আসবেন বিজেপি প্রার্থীদের হয়ে প্রচারে। এছাড়া নাম আছে মোদি মন্ত্রিসভায় বাংলার চার প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক, সুভাষ সরকার, জন বার্লা এবং শান্তনু ঠাকুরের। নেই কোনও গ্ল্যামার জগতের তারকার নামও। সবচেয়ে আশ্চর্যজনকভাবে এই তালিকায় ঠাঁই পাননি রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ও। বৃহস্পতিবারই তাঁকে বিজেপির জাতীয় কর্মসমিতিতে জায়গা করে দেওয়া হয়েছিল রাজীবকে। অনেকেই ভেবেছিলেন তাঁকে দলে রাখতে তৎপর কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। আর একদিন পরই তারকা প্রচারক হিসেবে তাঁকেই রাখল না বঙ্গ বিজেপি।
বিজেপির ২০ জনের প্রচারকের তালিকায় জায়গা পেয়েছেন, অমিতাভ চক্রবর্তী, দেবশ্রী চৌধুরী, রূপা গঙ্গোপাধ্যায়, অগ্নিমিত্রা পাল, লকেট চট্টোপাধ্যায়, অর্জুন সিংহ, শমীক ভট্টাচার্য এবং মাফুজা খাতুন। এছাড়া বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এবং বিজেপি রাজ্য সভাপতি শুকান্ত মজুমদার, তাঁর পূর্বসূরি দিলীপ ঘোষ এবং রাহুল সিনহাও যাবেন চার বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনের প্রচারে। তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল একুশের নির্বাচনের মতো বলি ও টলিউডের কোনও তারকাকে রাখা হয়নি এই তালিকায়। যেখানে মিঠুন চক্রবর্তী থেকে শুরু করে হেমা মালিনীর মতো স্টার ক্যাম্পেইনার বারবার বাংলায় এসেছিলেন প্রচারে। এমনকি তালিকায় নাম নেই খরগপুর সদরের তারকা বিধায়ক হিরণ চট্টোপাধ্য়ায়ের নামও। যেখানে যে চার বিধানসভা আসনে ভোট হবে তার সিংহভাগই গ্রামাঞ্চলে।
কোচবিহারের দিনহাটা, নদিয়ার শান্তিপুর, উত্তর ২৪ পরগনার খড়দহ এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনার গোসাবার উপনির্বাচন হবে। সেখানে তৃণমূলের তারকা প্রচারকের তালিকা দেখলেই বোঝা যাবে রীতিমতো পরিকল্পনা করেই সেটি তৈরি করা হয়েছে। তৃণমূলের বিধায়কদের মধ্যে জুন মালিয়া, রাজ চক্রবর্তী, সোহম চক্রবর্তী, অদিতি মুন্সীর নাম ওই তালিকায় রয়েছে। আবার যুব তৃণমূলের নেত্রী সায়নী ঘোষের পাশাপাশি সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো টলি তারকাও রয়েছেন। রাজনৈতিক মহল মনে করছেন একের পর এক নির্বাচনে ভরাডুবির কারণে হেভিওয়েট প্রচারকদের ময়দানে নামাতে পিছিয়ে আসছে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। আবার বিজেপির অন্দরেও গুঞ্জন অনেকেই আসতে চাইছেন না বাংলায় প্রচারে।