নিজস্ব প্রতিনিধি: বীরভূম তৃণমূল বলতে অনুব্রত মণ্ডল (ANUBRATA MONDAL) নামটাই যথেষ্ট। তবে সেই অনুব্রত এখন ১৪ দিনের সিবিআই হেফাজতের পরে রয়েছেন জেল হেফাজতে। তবে গত ২৪ ও ২৫ অগাস্ট আসানসোল সংশোধনাগারে থাকলেও আপাতত তিনি রয়েছেন আসানসোল বিশেষ সংশোধনাগারে। মানে তাঁর সেলে রয়েছে বিশেষ কিছু সুবিধা। শারীরিক দিকে খেয়াল রেখেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে জেল কর্তৃপক্ষ। তবে তাঁর অনুপস্থিতে বীরভূমের ৩ বিধানসভা এলাকায় দলের দায়িত্ব দেওয়া হল এক ‘বিশেষ’ নেতাকে।
অনুব্রত যে বিশেষ সংশোধনাগারে আছেন সেখানে তাঁর জন্য বরাদ্দ একটি খাট, আলাদা শৌচাগার। সেখানে রয়েছে কমোড। জানা গিয়েছে আইসোলেশন ওয়ার্ডে তিনি খেয়েছেন মুড়ি, চিড়ে এবং ছাতু। রয়েছে স্বাসকষ্ট লাঘবের বিশেষ যন্ত্র ও তাৎক্ষনিক চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়ার ব্যবস্থা। তিনি নিজের গড়ে নেই। তাই আপাতত দলের দায়িত্ব ওই জেলায় দেওয়া হয়েছে স্থানীয় নেতৃত্বকে। কেতুগ্রাম, মঙ্গলকোট এবং আউশগ্রামের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে পূর্ব বর্ধমানের জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়কে। বীরভূম সংগঠনে সরাসরি নজর রাখছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
গ্রাম পঞ্চায়েত পরিচালনার ক্ষেত্রে বাড়তি নজর দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে দলের নির্দেশ, পঞ্চায়েত নির্বাচন এবং লোকসভা নির্বাচনের দিকে লক্ষ্য রেখে সংগঠকে আরও মজবুত করার। জেলাস্তরে ব্লক কমিটিতেও দেওয়া হয়েছে বিশেষ নজর। বোলপুর লোকসভার সাংগঠনিক দায়িত্ব সামলাবেন ওই এলাকার নেতৃত্ব। এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল আগেই। দলের সিদ্ধান্ত, যেহেতু সাংগঠনিক জেলা ভাগ করা হয়েছে তাই এক জায়গার নেতৃত্ব অন্য জায়গার দায়িত্বে আর থাকবেন না। যে যার নিজের ‘গড়’ সামলাবেন।