নিজস্ব প্রতিনিধি: এর আগে লোকসভা নির্বাচনের(Loksabha Election 2024) জন্যই ভোটপ্রচারে এসে কেষ্টগড়ে কেষ্টকে নিয়ে মুখ খুলেছিলেন দিদিমণি। আর কেনই বা খুলবেন না। কেন্দ্রীয় এজেন্সি যতই কেষ্টকে দিল্লির তিহাড়ে বন্দী করে রাখুন না কেন, তিনি এখনও বীরভূম(Birbhum) জেলা তৃণমূলের(TMC) সভাপতি। আর তাই কেষ্ট’র জেলায় পা রেখে দিদিমণি কেষ্টকে নিয়ে কিছু বলবেন না, তা আবার হয় নাকি। এদিন অর্থাৎ ৫ মে রবিবার, দিদিমণি মানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee) সভা করলেন বীরভূমের লাভপুরে। সেই সভা থেকেই তিনি কেষ্টকে দিয়ে দিলেন বড় সার্টিফিকেট। এর আগে গত ২৩ এপ্রিল জেলায় সভা করতে এসে মমতা কেষ্ট মানে অনুব্রত মণ্ডলকে(Anubrata Mondol) নিয়ে বলেছিলেন, ‘কেষ্টকে ওরা ভয় পায়। সেই জন্য ওকে দিল্লিতে আটকে রেখেছে। মেয়েটাকেও আটকে রেখেছে। আসলে ওকে আটকে রেখেছেন কেন জানেন। কেষ্ট যাতে কাজ না করতে পারে তাই আটকে রেখেছে। আগে দেখতেন না ভোটের সময় বলে দিত কেষ্ট বাড়ি থেকে বেরোতে পারবে না। তাতেও ভোটে জিততো না। তাই এখন জেলে আটকে রেখেছে। যেন ওকে জেলে আটকে রাখলেই ওরা ভোটে জিতে যাবে। তোমরাও শুনে রাখো, কেষ্ট এই জেলার মাটির ধুলোতে ধুলোতে মিশে আছে। মানুষের মনে মনে রাজত্ব করছে। আপনারাও দেখবেন, ইলেকশানের পরে ওকে ছেড়ে দেবে।’
এদিনও সেই সুরই বজায় রেখেছেন মমতা। তবে সেই সুরের সঙ্গে জুড়ে দিয়েছেন একটা সার্টিফিকেটও। তা কী বলেছেন এদিন মমতা। লাভপুরের সভা থেকে এদিন তৃণমূল সুপ্রিমো বলেন, ‘বীরভূমে অনেক উন্নয়ন হয়েছে। আমি মনে করি, কেষ্ট আজ জেলে থাকলেও এই ছেলেটাই জেলার উন্নয়নকে হাতের মুঠোয় রেখে কাজ করত। তাই পর পর চারটে সেতু করেছি আমরা। বিজেপি সাজিয়ে-গুছিয়ে কেস করেছে। তাতে কী এক দিন না এক দিন তো বেরোবেই। কেষ্ট কে ধরে রেখেছে কেন? নির্বাচনের জন্য। ওকে বলেছে তুমি বিজেপিকে মদত করে দাও, তোমায় ছেড়ে দেব। দেখবেন বীরভূমের ভোট হয়ে যাবে, কেষ্টও ছাড়া পেয়ে যাবে। এরা তো অমর্ত্য সেনকেও জমিহারা করে দিতে চেয়েছিল। সে দিন আমরা সবাই রুখে দাঁড়িয়ে ছিলাম। বিশ্বভারতীর ভিসি কী করেছিলেন সে দিন? বীরভূমের বদনাম করে দিয়েছিলেন। বিজেপি বলছে এই ওসিটাকে চেঞ্জ করতে, করে দিচ্ছে। ডিআইজি পাল্টে দিচ্ছে। তৃণমূলের বিরুদ্ধে যা করতে বলছে, তাই করছে। এটা নির্বাচন কমিশন? তিন জনই বিজেপির কোলের সন্তান। বিজেপিই আসলে কয়লা মাফিয়া। ওদের মন্ত্রীরা টাকা খান। গরু আমাদের বিষয় নয়, ওটা বিএসএফ দেখে।’