নিজস্ব প্রতিনিধি: সব কিছু ঠিক থাকলে আগামী ২ ফেব্রুয়ারি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee) পূর্ব বর্ধমান(Purba Burdhwan) জেলায় একটি প্রশাসনিক বৈঠকে যোগ দেবেন। বর্ধমান শহরের বুকে গোদার মাঠে সেই সভা হওয়ার কথা আছে। ওই সভা থেকেই মুখ্যমন্ত্রীর হাত থেকে ১০০০ জনকে তাঁদের জমির জন্য পাট্টা(Land Lease) প্রদান করবেন মুখ্যমন্ত্রী। একসঙ্গে এতজনকে পাট্টা দিয়ে কার্যত এবার নয়া রেকর্ড তৈরি করতে চলেছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন সরকার। যারা সেই পাট্টা পাবেন তাঁরা প্রত্যকেই পূর্ব বর্ধমান জেলারই বাসিন্দা। এদের কেউ বসবাসের জমির জন্য পাট্টা পাবেন আবার কেউ চাষের জমির জন্য। যারা বসবাসের জমির পাট্টা পাবেন তাঁদের জমির পরিমাণ আড়াই কাঠা জমি ও যারা চাষের জন্য পাট্টা পাবেন তাঁদের জমির পরিমাণ পাঁচ কাঠা বলে জেলা ভূমি ও ভূমি রাজস্ব দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুন স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডে ১২০০ কোটির ঋণ প্রদানের রেকর্ড
উল্লেখ্য, এবার রাজ্য সরকার ‘দুয়ারে সরকার’(Duyare Sarkar) প্রকল্পেও পাট্টার জন্য আবেদনপত্র জমা নিয়েছিল। প্রতিটি জেলাতেই উপভোক্তারা আবেদন করেন। পূর্ব বর্ধমানেও কয়েকশো আবেদনপত্র জমা পড়েছিল। সেই সব আবেদন খতিয়ে দেখে আবেদনকারীদের কাছে থাকা নথি দেখে পাট্টা প্রদানের জন্য ১ হাজার জনকে বেছে নেওয়া হয়েছে। এই পাট্টা প্রদানের ক্ষেত্রে সব থেকে বেশি লাভবান হতে চলেছেন যারা বসবাসের জন্য এই পাট্টা পেতে চলেছেন তাঁরা। কেননা, পাট্টার নথি পাওয়ার পর উপভোক্তারা সেই জায়গায় বাড়ি করতে পারবেন। পাট্টার জমি থাকলে আবাস যোজনা প্রকল্পে বাড়ি পেতে সমস্যা হবে না। সেক্ষেত্রে আবাস যোজনা প্রকল্পে সরকারও বাড়ি তৈরি করে দিতে পারবে। বাড়ি তৈরির জন্য জেলার মধ্যে সবথেকে বেশি পাট্টা পাবেন কালনা-১ ব্লকের মানুষজন। এই ব্লকের ১০০জনকে পাট্টার নথি দেওয়া হবে বসবাসের জন্য। চাষের জন্য সব থেকে বেশি মানুষ পাট্টা পাবেন ভাতার ব্লক থেকে। সেখানকার ১৫০জন উপভোক্তা পাট্টা পাবেন।
আরও পড়ুন জিয়াগঞ্জে নেতাজির স্মৃতি বিজড়িত বাড়ি সংরক্ষণের দাবি
এই কর্মসূচি নিয়ে পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের সভাধিপতি শম্পা ধাড়া(Shampa Dhara) জানিয়েছেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন মা-মাটি-মানুষের সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই পাট্টা দেওয়ার ক্ষেত্রে জোর দেওয়া হয়েছে। অনেকেই পাট্টা পেয়ে বাড়ি পেয়েছেন। আগে পাট্টা দেওয়ার ক্ষেত্রে রাজনীতির রং দেখা হতো। এখন সেসব হয় না। প্রকৃত গরিবরা জমি পান। বাড়ির জন্য আড়াই কাঠা জমি পাট্টা দেওয়া হয়। চাষের জন্য প্রতি উপভোক্তাকে পাঁচ কাঠা জমি পাট্টা দেওয়া হয়। সরকার চায় প্রত্যেক বাসিন্দার মাথায় পাকা ছাদ হোক। সেই কারণে কারও জমি না থাকলে তাঁকে পাট্টা দেওয়া হচ্ছে। আবেদনকারীদের নথি ঠিক থাকলে পাট্টা পেতে সমস্যা হয় না। এবছর রেকর্ড সংখ্যক উপভোক্তা পাট্টা পাচ্ছেন। মুখ্যমন্ত্রী ২ ফেব্রুয়ারির সভা থেকে পাট্টা দেওয়া ছাড়াও অন্যান্য প্রকল্পেরও সুবিধা দেবেন। প্রতিটি ব্লকের আলাদা আলাদা স্টল থাকছে। সেখান থেকে পাট্টার নথি দেওয়া হবে। মুখ্যমন্ত্রী কয়েকজনকে মঞ্চ থেকে পাট্টার নথি দেবেন।’