এই মুহূর্তে




যুদ্ধের গন্ধে ছড়াচ্ছে আতঙ্ক, হ্যারিকেন-কেরোসিন তেল মজুতে ব্যস্ত সাধারণ মানুষ




নিজস্ব প্রতিনিধি, উত্তর চব্বিশ পরগনা: ভারত-পাকিস্তানের সংঘাত নিয়ে চিন্তায় গোটা দেশ। মূলত কাশ্মীরের পহেলগাঁও জঙ্গি হামলার পরেই এই যুদ্ধ শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যেই ভারতের পক্ষ থেকে প্রতিশোধ হিসেবে ‘অপারেশান সিঁদুর’ অভিযান করা হয়েছে। তবে নিরাপত্তায় সমস্ত জায়গা ঘিরে ফেলা হলেও কিছু কিছু জায়গা এখনও বাকি রয়েছে। তবে এখন যুদ্ধ নিয়ে জল্পনার কিছু কম নেই মহেশতলা, বজবজ, পুজালি, নোদাখালি, বিষ্ণুপুর, চম্পাহাটির মানুষের মধ্যে। এই ভয়াবহ পরিস্থিতিতে কেউ আর চুপ করে বসে নেই।

কিছু কিছু জায়গায় হঠাৎ হঠাৎ ব্ল্যাক আউট হয় যাচ্ছে। বার বার বিদ্যুৎ চলে যাওয়ার জন্য আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে সাধারণ মানুষ। এই অবস্থায় ঘরে পড়ে থাকা পুরোনও হ্যারিকেন, লম্ফ, লণ্ঠন সমস্ত পরিষ্কার করে রাখছে সকলে। আবার দেখা যাচ্ছে কিছু জন আবার নতুন হ্যারিকেন কিনছেন। তার পাশাপাশি বাড়িতে অনেক বেশি দামে (লিটার প্রতি ৯৫ থেকে ১০৫ টাকা) কেরোসিন তেল কেনার জন্য উদ্যোগ নিয়েছে তাঁরা। ফলে কেরোসিন তেলের বিক্রিও অনেকটা বেড়েছে।

স্থানীয় সূত্রে খবর, যুদ্ধের আগে সমস্ত দিক থেকে প্রস্তুতি নেওয়া প্রয়োজন। হঠাৎ যদি অন্ধকার হয়ে যায় চারিদিক খুব সমস্যায় পড়ে যেতে হবে। এমনটাই মনে করছেন মহেশতলা পুরসভার ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের জোতশিবরামপুরের শুকদেবপুর শহরতলির অংশ। বৃদ্ধ সুনীল মণ্ডল। তার সত্তর বছর বয়স। দীর্ঘদিন ধরে এই এলাকার বাসিন্দা তিনি। চিন-ভারত যুদ্ধ এবং পরে সময়ে ভারত-বাংলাদেশ যুদ্ধও সময়ের কথাও জানেন তিনি। সেই সুনীলবাবু জানালেন, “প্রতিদিন মুখে মুখে শুনছি সন্ধ্যায় বিদ্যুৎ চলে যাবে। এজন্য টেনশন হচ্ছে। তাই বাধ্য হয়ে কাঠের বাক্স থেকে হ্যারিকেন ও একটা লণ্ঠন বের করেছি। অনেকদিন ধরে বাক্সবন্দি ছিল। সাফসুতরো করেছি। আমাদের এখানে ১০৫ টাকা লিটার কেরোসিন তেল। অনেকটা গায়ে লাগলেও কিনতে হচ্ছে বাধ্য হয়ে।” সুনীলবাবু আরও জানিয়েছেন, “এর আগে যুদ্ধের উত্তাপ দেখেছি। খুব আতঙ্ক চারপাশে। উপর থেকে যুদ্ধ বিমান চলে যাওয়ার গর্জন। ব্ল্যাক আউট দেখেছি। সাইরেন বাজত যখন তখন। চিন-ভারতের যুদ্ধের সময় আমার বয়স ১৫ হবে। তখন টালিগঞ্জের সাধন মার্কেটের কাছে এক রেস্তরাঁয় কাজ করি। ওই সময় জানালা ও বাড়ির কোথাও কোনও ফাঁক রাখা যেত না। চট দিয়ে ঢেকে রাখতে হতো। একদিন যেখানে থাকতাম সেই বাড়ির জানালা খোলা ছিল। হুইসেল বাজাতে বাজাতে পুলিস এসে গেল। এরপর দ্রুত বন্ধ করে দিতে হল জানালা। বজবজের রঞ্জিত বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিয়ে হয়েছিল ভারত বাংলাদেশ যুদ্ধের সময়। সন্ধ্যার পর গোটা বাড়ি ত্রিপল দিয়ে ঢেকে রাখা হয়েছিল। যাতে ভিতরের আলো বাইরে বেরতে না পারে। রঞ্জিতবাবুও হ্যারিকেন, তেল সংগ্রহ করেছেন।”




Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

উত্তরবঙ্গ-দিঘা রুটে স্পেশাল ভলভো বাস চালানোর ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর

টিটাগড়ে বিস্ফোরণকাণ্ডে কাউন্সিলর-সহ গ্রেফতার তিন জন

২২ মে’র মধ্য তৈরি হবে নিম্নচাপ, বৃহস্পতিবার পর্যন্ত রাজ্যে ঝড়-বৃষ্টি চলবে

‘এটা দিনহাটা নয়..’, উদয়ন গুহকে সমঝে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী

সরকারের ওপরে ভরসা রাখার বার্তা শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর

“পুলিশ যদি ট্যাক্স তোলে…”, উত্তরবঙ্গের বাণিজ্য সম্মেলন থেকে কড়া বার্তা মমতার

Advertisement




এক ঝলকে
Advertisement




জেলা ভিত্তিক সংবাদ