নিজস্ব প্রতিনিধি: ঘড়ির কাঁটায় ঠিক পাঁচটা। আচমকাই চোখের সামনে ধোঁয়া, লাইনচ্যুত হয়ে গেল বিকানের-গুয়াহাটি এক্সপ্রেস। ১২ টি বগি খেলনার মত ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে রয়েছে। ভিতরে কাঁদছে বহু মানুষ, যন্ত্রণায় ছটফট করছে। কেউ চুপ, কারণ মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়েছে সে। ময়নাগুড়ির দোমহানির ট্রেন দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে ৯ জনের। গুরুতর আহত ৪২ জন। আর এই মর্মান্তিক ট্রেন দুর্ঘটনার খবর পেয়েই তড়িঘড়ি দিল্লি থেকে রাজ্যে এসেছেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। নিউ জলপাইগুড়ি ও কোচবিহারের মাঝের স্টেশনের দুর্ঘটনাস্থল ঘুরে দেখেন রেলমন্ত্রী। তিনি জানান, ‘আচমকা ইঞ্জিনের একটি যন্ত্রাংশ বিকল হয়ে যাওয়ার কারণেই বিপত্তি। তবে, রেল দুর্ঘটনার বিশদ কারণ পরে তদন্তকারী কমিটিই জানাবে।’ তবে তিনি জানিয়ে দেন রেলের ট্র্যাকে কোনও গণ্ডগোল ছিল না।
তারপরেই রেলমন্ত্রী জলপাইগুড়ি সুপারস্পেশ্যালিটি হাসপাতালে গিয়েছিলেন আহতদের দেখতে। সেখানে গিয়ে আহত ট্রেন যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। হাসপাতালের সুপারের সঙ্গে দেখা করে গোটা ঘটনার খোঁজ নেন তিনি। রেলের তরফে ইতিমধ্যেই একটি উচ্চপর্যায়ের কমিটি গড়ে দেওয়া হয়েছে। যারা দ্রুত রিপোর্ট দেবেন বলে জানা গিয়েছে। জলপাইগুড়ির সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে রেল দুর্ঘটনায় আহত ৩৬ জন ভর্তি রয়েছেন। এ ছাড়াও উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিত্সাধীন আরও ৬ জন। উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালে ভর্তি থাকা ৬ জনেরই অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে হাসপাতাল সূত্রে খবর।
এই দুর্ঘটনাকে কেন্দ্র করে রেলের তরফে ক্ষতিপূরণের কথা ঘোষণা করা হয়েছে। মৃতদের পরিবারকে ৫ লক্ষ টাকা করে দেওয়া হবে। গুরুতর আহতরা পাবেন ১ লক্ষ টাকা। অল্প আহতদের জন্য মাথাপিছু ২৫ হাজার টাকা।