নিজস্ব প্রতিনিধি: ময়নাগুড়ির দোমহানির আপ বিকানের-গুয়াহাটি এক্সপ্রেসের দুর্ঘটনায় ত্রাহি ত্রাহি রব। বৃহস্পতিবার বিকেল পাঁচটায় নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন ছেড়ে কোচবিহার স্টেশনের দিকে যাওয়ার পথেই আচমকাই লাইনচ্যুত হয়ে যায় আপ বিকানের এক্সপ্রেসের ১২ টি কামড়া। একের ওপর আর একটি যেন খেলনার মত উঠে যায় ট্রেনের বগি গুলি। কিন্তু কীভাবে ঘটল এই ভয়ানক দুর্ঘটনা? তদন্ত শুরু হতেই উঠে এসেছে বিস্ফোরক তথ্য। সংবাদমাধ্যমের সামনেই ট্রেনের চালক স্পষ্ট জানিয়েছেন, ঝাঁকুনি অনুভব করি। তাই এমার্জেন্সি ব্রেক কষি। তখন গাড়ির গতি ছিল ৯৫ থেকে ১০০ কিমি। ইঞ্জিনের কোনও ত্রুটি নেই। আমরা বারবার দেখেছি। ট্রেন থামতেই পিছনে ফিরে দেখি সব বগি উল্টে গিয়েছে।’
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকেই রেলের তরফে বারবার বলা হচ্ছিল। দুর্ঘটনা গ্রস্ত ট্রেনটির ঘণ্টায় গতি ছিল ৪০ কিমি। কিন্তু বিশেষজ্ঞ মহলের অনুমান ছিল কোনওমতেই ট্রেনের গতি ১০০-এর নীচে থাকতে পারে না। তা কার্যত শুক্রবার জানিয়েই দিলেন আপ বিকানের-গুয়াহাটি এক্সপ্রেসের লোকো পাইলট। যদিও রেলের তরফে এই ঘটনার উচ্চপর্যায়ের তদন্ত চলছে বলেই জানা গিয়েছে। রেলের তরফে দুর্ঘটনার প্রাথমিক কারণ হিসেবে জানানো হয়েছে, আপ বিকানের এক্সপ্রেসের লাইনচ্যুত হওয়ার ঘটনায় ইঞ্জিনের যে সমস্যা ছিল তদন্তে তা স্পষ্ট হয়েছে। এই ইঞ্জিন ছিল ওয়াপ ফোর ক্যাটিগরির। এতে চারটি করে ট্র্যাকশন মোটর থাকে। প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, ইঞ্জিনের একটি ট্র্যাকশন মোটর ভেঙে পড়েছিল। তাতেই বিপত্তি ঘটে। ট্র্যাকশন মোটরের ভূমিকা হল এটি ইঞ্জিনের চাকাকে রেল লাইনে ধরে রাখতে ও চাকাকে ঘোরাতে সাহায্য করে। তা ভেঙে পড়ায় এত বড় দুর্ঘটনা ঘটে গিয়েছে।
যদিও রেলের তরফে ট্র্যাকশন মোটরের বিপত্তিকেই দায়ী করা হয়েছে। তাই একটি মোটর খুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে ফরেন্সিক পরীক্ষার জন্য।