নিজস্ব প্রতিনিধি: পুরভোট মিটতে না মিটতেই রানাঘাটের বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকারের নিরাপত্তা প্রত্যাহার করল অমিত শাহের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। আর ওই সিদ্ধান্তে বেজায় ক্ষুব্ধ খোদ সাংসদ। কেন্দ্রের সিদ্ধান্তকে দুর্ভাগ্যজনক হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন তিনি। যদিও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের এমন সিদ্ধান্তকে সাফাই দিতে আসরে অবতীর্ণ হয়েছেন বঙ্গ বিজেপির মুখিয়া সুকান্ত মজুমদার। তাঁর কথায়, ‘নির্দিষ্ট সময় অন্তর অন্তর কেন্দ্র এই নিরাপত্তার বিষয়টি খতিয়ে দেখে। সেটার ভিত্তিতেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।’ তবে রানাঘাটের দলীয সাংসদের নিরাপত্তা যাতে ফিরিয়ে দেওয়া হয়, তা নিয়ে দলের পক্ষ থেকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের সঙ্গে কথা বলা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
গত লোকসভা নির্বাচনে রানাঘাট আসন থেকে জয়ী হয়েছিলেন জগন্নাথ সরকার। ২০২১ সালের বিধানসভা ভোটে বিজেপির হয়ে শান্তিপুর আসন থেকে বিজয়ী হন। বিধানসভা ভোটের আগে রাজ্য বিজেপি নেতাদের মুড়ি-মুড়কির মতো কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা দিয়েছিল অমিত শাহের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। সেই তালিকায় ছিলেন রানাঘাটের বিজেপি সাংসদও। যদিও বিধানসভা ভোটে জিতলেও দলের শীর্ষ নেতৃত্বের নির্দেশে বিধায়ক পদে ইস্তফা দিয়ে সাংসদ পদ ধরে রেখেছিলেন জগন্নাথ সরকার।
বিধানসভা ভোটে নদিয়ায় ভাল ফল করলেও পুরসভায় মুখ থুবড়ে পড়েছে গেরুয়া শিবির। দশটি পুরসভার মধ্যে চারটি পুরসভা মিলিয়ে মাত্র পাঁচটি ওয়ার্ড পেয়েছে বিজেপি। বাকি ৬টি পুরসভায় প্রাপ্ত আসন শূন্য। রানাঘাট পুরসভাতেও মাত্র ১টি আসনে জয় এসেছে। এমন লজ্জাজনক হারের পরেই আচমকা রানাঘাটের বিজেপি সাংসদের কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা প্রত্যাহার নিয়ে বঙ্গ বিজেপির অন্দরে জোর জল্পনা শুরু হয়েছে।
আচমকা নিরাপত্তা তুলে নেওয়ার ঘটনাকে দুর্ভাগ্যজনক আখ্যা দিয়ে বিজেপি সাংসদ বলেছেন, ‘আমাকে আগেভাগে কিছু জানানো হয়নি। হঠাৎ করে তুলে নেওয়া হয়েছে। এটা দুর্ভাগ্যজনক। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রককে চিঠি পাঠিয়ে সিদ্ধান্তের কারণ জানতে চেয়েছি।’