নিজস্ব প্রতিনিধি: গত ১৫ দিন ধরে ক্রমাগত যৌন নির্যাতন করা হয়েছিল এক নাবালিকাকে (Minor)। এই দুষ্কর্ম করে নাবালিকার পরিবারেরই এক ব্যক্তি। নির্যাতনের পর ওই নাবালিকাকে মুখ বন্ধ রাখার হুমকিও দেওয়া হয়। মুখ খুললেই প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেয় অভিযুক্ত। পুলিশি (Police) তৎপরতায় গ্রেফতার হয়েছে অভিযুক্ত। তাকে আদালতে (Court) তোলা হলে জেল হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়।
অভিযোগ, আট বছরের ওই নাবালিকাকে দু’ সপ্তাহেরও বেশি দিন ধরে যৌন নির্যাতন করেন প্রমোদ পাশোয়ান। পরিবারের পরিচিত ওই ব্যক্তি সময় পেলেই নাবালিকাকে নিয়ে যেত নিজের বাড়িতে। আর সেখানেই চলত লাগাতার যৌন নিগ্রহ। ধারাবাহিক অত্যাচারে ক্রমে অসুস্থ হয়ে পড়তে শুরু করে নাবালিকা। সেই সঙ্গে আতঙ্কিতও। মানসিক ও শারীরিক ভাবে অসুস্থ হয়ে পড়া দেখে সন্দেহ হয় কন্যার মায়ের। তিনি প্রশ্ন করলে ওই নাবালিকা কাঁদতে কাঁদতে সমস্ত ঘটনা খুলে জানায় তার মাকে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এই ঘটনা একবালপুরের। নির্যাতিতার বাড়ির কাছেই থাকত অভিযুক্ত প্রমোদ পাশোয়ান। তার অত্যাচারের অসহ্য যন্ত্রণা সহ্য করতে পারেনি নাবালিকা। শারীরিক ভাবে দুর্বল হয়ে পড়েছিল সে। পরিবারকে সমস্ত অত্যাচারের কথা জানিয়েছিল ওই নাবালিকা। নির্যাতিতার পরিবার প্রমোদ পাশোয়ানের নামে থানায় পকসো আইনে অভিযোগ দায়ের করে। অভিযোগের ওপর ভিত্তি করে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আরও জানা গিয়েছে, সারাক্ষণ আতঙ্কগ্রস্ত থাকত ওই নাবালিকা। এদিকে শারীরিক ভাবে দুর্বল হয়ে যাচ্ছিল ক্রমশ। তা দেখে সন্দেহ হয়েছিল মায়ের। তারপরেই মেয়ে সমস্ত ঘটনা জানায়। সেই সঙ্গে নাবালিকা জানিয়েছে, কাউকে কিছু বললে মেরে ফেলার হুমকি দিয়েছিল ওই অভিযুক্ত। তারপরেই একবালপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। গ্রেফতার (Arrest) করা হয় অভিযুক্তকে। স্থানীয় হাসপাতালে (Hospital) এরপর হয় নাবালিকার স্বাস্থ্য পরীক্ষা। শনিবার ধৃতকে আদালতে তোলা হলে তার জেল হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।