নিজস্ব প্রতিনিধি: টোপর মাথায় দিয়ে বর বেশে ছাদনাতলায় থুড়ি মন্দিরে হাজির হয়েছিলেন পাত্র বাবাজি। ইচ্ছে ছিল জামাই বেশে যাবেন শ্বশুরবাড়িতে। মেনে নেবে দুই পরিবার। কিন্তু আইনের ঠেলায় সেই ভাগ্য আর হল না। কোমরে পড়ল দড়ি। যেতে হল মামাবাড়ি মানে শ্রীঘর। এই ঘটনায় চাইল্ড লাইন ও পুলিশের তৎপরতাকে কুর্নিশ জানাচ্ছেন সমাজ সচেতন নাগরিকরা।
সেজেছিলেন পাত্র- পাত্রী। তবে বিয়েতে (Marriage) আপত্তি কোথায়? এক্ষেত্রে পাত্রী নাবালিকা (Minor)। এটাই দণ্ডনীয় অপরাধ। বিয়ে উপলক্ষ্যে হাজির হয়েছিলেন আমন্ত্রিতরা। হঠাৎ সকলে বিয়ে ছেড়ে দে ছুট। পুলিশ এসেছে। গোপনসূত্রে খবর পেয়েই হানা দিয়েছিল বর্ধমান থানার পুলিশ (Police)। আর পুলিশ এসেই ভেস্তে দেয় নাবালিকা বিয়ে। গ্রেফতার (Arrest) করা হয় পাত্র বিশ্বনাথ বিশ্বাসকে। কোমরে দড়ি পরিয়ে সোজা নিয়ে যাওয়া হয় থানায়। বৃহস্পতিবার রাতের ঘটনা। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত পাত্র বর্ধমানের শক্তিগড় থানার বড়শুল এলাকায় বিয়ে করতে যাচ্ছিলেন নাবালিকাকে। অভিযুক্ত বড়শুলা এলাকার কুমিরখোলার বাসিন্দা। বর্ধমান ২- ব্লকের নাদুরের এক কালী মন্দিরে হয়েছিল বিয়ের সমস্ত আয়োজন। বিয়ে বন্ধ করার পর পাত্রকে নিয়ে যাওয়া হয় থানায় আর নাবালিকা পাত্রীকে (১৭) পাঠানো হয় চাইল্ড লাইনে। পাত্রের বিরুদ্ধে হয় মামলা রুজু। তাঁকে তোলা হয় আদালতে (Court)।
বিয়েতে অমত ছিল না নাবালিকা পাত্রীর পরিবারের। তাঁরাই করেছিলেন আয়োজন। তবে আপত্তি ছিল পাত্রের পরিবারের। তাঁরাই খবর দিয়েছিল চাইল্ড লাইন (Child Line) ও পুলিশে। এরপরেই ওই সংস্থা ও পুলিশ অভিযান চালিয়ে বন্ধ করে নাবালিকার বিয়ে।