নিজস্ব প্রতিনিধি: গণবণ্টন ব্যবস্থায়(Ration System) বাংলার(Bengal) কাজে খুশ মোদি সরকার(Modi Government)। বুধবার কেন্দ্র-রাজ্য খাদ্যমন্ত্রী ও সচিব পর্যায়ের বৈঠকে এমনই অভিব্যক্তি প্রকাশ করেছেন কেন্দ্রীয় খাদ্যমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল(Piyush Goyel)। রেশন ব্যবস্থার ক্ষেত্রে রাজ্যের যে সামান্য হিসেব দেওয়া বাকি ছিল, তাও দেওয়া হয়ে গিয়েছে। ফলে বাংলার দিকে আর আঙুল তোলার কোনও সুযোগ পায়নি কেন্দ্র। রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন পর্বে ব্যস্ত থাকায় কেন্দ্রের আমন্ত্রণ পেলেও বৈঠকে আসতে পারেননি বাংলার খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ। তবে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের খাদ্যসচিব পারভেজ সিদ্দিকি।
আরও পড়ুন আধার ছাড়া দেওয়া যাবে না উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা
চলতি বছর আন্তর্জাতিক দানাশস্য বর্ষ হিসেবেই পালন করছে গোটা বিশ্ব। তাই এবার খরিফ মরসুমে জোয়ার, বাজরা, রাগির মতো দানাশস্য সংগ্রহ বৃদ্ধির উপর বৈঠকে জোর দিয়েছে কেন্দ্র। ঠিক হয়েছে, এবার মরসুমে ২৬.১৪ লাখ মেট্রিক টন দানাশস্য কৃষকদের কাছ থেকে সংগ্রহ করা হবে। এর মধ্যে থেকে ২২.৩১ লাখ মেট্রিক টন রাজ্যগুলিকে সরবরাহ করা হবে। এরই পাশাপাশি ‘প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ অন্ন যোজনা’য় রেশন দোকানের মাধ্যমে দেশের ৮০ কোটি নাগরিককে বিনামূল্যে চাল-গম দেওয়ার বিষয়ে কোনও রাজ্যে আদৌ কোনও সমস্যা আছে কি না, তা জানতে চেয়েছেন গোয়েল। বৈঠকে গোটা দেশের ৫ লক্ষ ৪৪ হাজার রেশন দোকানকে কী করে আরও স্মার্ট করা যায়, প্রত্যেকটি জায়গায় সম্পূর্ণ কম্পিউটার ব্যবস্থায় লেনদেন কার্যকর হয়, সে ব্যাপারে রাজ্যগুলিকে আরও উদ্যোগী হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। কারণ, আদতে রেশন দোকানদাররাই কেন্দ্রের প্রকল্প রূপায়ণে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নেন।
আরও পড়ুন পঞ্চায়েত ভোটের প্রচারের সময়সীমা শেষ আজ বিকালেই
বুধবারের বৈঠকে উত্তরপ্রদেশ, অসম, বিহার, গুজরাত এবং অন্ধ্রপ্রদেশের কিছু বিশেষ উদ্যোগ নিয়েও আলোচনা হয়। বৈঠকে সুগার ইথানল নামে একটি বিশেষ পোর্টাল উদ্বোধন করেন পীযূষ গোয়েল। মোদি সরকারের বিরুদ্ধে তৃণমূল, কংগ্রেসের মতো বিরোধীরা প্রায়ই অভিযোগ করে, যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামো মানে না কেন্দ্র। তাই বুধবারের বৈঠকে সেই অভিযোগ ঘোচানোর চেষ্টা করেন কেন্দ্রীয় খাদ্যমন্ত্রী। বলেন, রাজনৈতিক মতপার্থক্য যাই থাক, যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামোয় দেশের জন্য সকলে এক হয়েই কাজ করব।