এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

পশ্চিম বর্ধমান জেলায় স্বাস্থ্যসাথীর সুবিধা পেলেন দেড় লক্ষাধিক মানুষ

নিজস্ব প্রতিনিধি: রাজ্যবাসী যাতে সুস্থ থাকতে পারে, যাতে আর কাউকে বিনা চিকিৎসায় প্রান হারাতে না হয় সেই আশায় ২০১৬ সালে বিধানসভা নির্বাচনের আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়(Mamata Banerjee) ‘স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্প'(Sasthasathi) চালু করার কথা ঘোষণা করেন। পশ্চিমবঙ্গের সরকারের(West Bengal Government) তথ্য অনুযায়ী ইতিমধ্যে প্রায় ২.৫ লক্ষ মানুষ এই সুযোগ ভোগ করছেন। এই প্রকল্পের মাধ্যমে বাংলার সাধারণ মানুষকে ৫ লাখ টাকার স্বাস্থ্য বিমা দেওয়া হয়। এবার, পশ্চিম বর্ধমান(Paschim Burdhwan) জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পে এই জেলার বাসিন্দারা রাজ্য সরকারের থেকে একশো কোটি টাকারও বেশি স্বাস্থ্য পরিষেবা পেয়েছেন। চলতি বছরে এখনও পর্যন্ত ১০৩ কোটি টাকার বেশি অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছে এই জেলার বাসিন্দাদের স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের মাধ্যমে চিকিৎসা করানোর জন্য।

আরও পড়ুন পূর্ত কর্মে খাপ্পা মমতা, মঞ্চ থেকেই দিলেন ধমক

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, এখনও পর্যন্ত পশ্চিম বর্ধমান জেলার বাসিন্দাদের মধ্যে স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের সুবিধা পেয়েছেন মোট ১ লক্ষ ৪৬ হাজারেরও বেশি মানুষ। তাঁদের জন্য রাজ্য সরকারের এ পর্যন্ত ব্যয় হয়েছে ২৩১ কোটির টাকারও বেশি। এছাড়া ক্যান্সার আক্রান্ত রোগীর চিকিৎসা চলছে স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের মাধ্যমে। বহু রোগী ভেলোরে গিয়ে জটিল অস্ত্রোপচারও করিয়েছেন। ওই সব মানুষেরা জানিয়েছেন, তাঁরা কোনওদিন ভাবতেই পারেনি বেসরকারি হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসা করাতে পারবেন। কিন্তু স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের দৌলতে তাঁরা চিকিৎসা করাতে পারায় খুশী। পশ্চিম বর্ধমান জেলা ছাড়াও দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলার মানুষ স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নিয়ে সরকারি ও বেসরকারি স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানে চিকিৎসা করাতে পারছেন। সেই পরিসংখ্যানও চমকপ্রদ। স্বাস্থ্যদফতর থেকে পাওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী, চলতি বছরে পশ্চিম বর্ধমান জেলার শিল্পাঞ্চলের বেসরকারি হাসপাতাল ও মেডিকেল কলেজগুলিতে স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের মাধ্যমে চিকিৎসার বিল হয়েছে ৯০ কোটি ২৫ লক্ষেরও বেশি টাকা। সেই অর্থ ইতিমধ্যেই বরাদ্দও করেছে রাজ্য সরকার। এতে উপকৃত হয়েছেন প্রায় ৫৮ হাজার রোগী।

আরও পড়ুন এখনই নদিয়া জেলা ভাগ হচ্ছে না, ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর

তবে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড যেমন দরিদ্র শ্রেণির বিপুল উপকারে লেগেছে, তেমনই এক শ্রেণির মানুষ এর অপপ্রয়োগও করছেন। প্রশাসন সূত্রেই জানা গিয়েছে, অনেকে অত্যন্ত ছোট বিষয় নিয়ে ভেলোরে হাজির হচ্ছিলেন চিকিৎসা করাতে। এতে সেই হাসপাতালে যেমন রোগীর চাপ বেড়ে যাচ্ছিল, তেমনি অনেক ক্ষেত্রে সরকারি টাকার অপচয় হচ্ছিল। তাই এবার স্বাস্থ্যদফতর থেকে নির্দিষ্ট করা হয়েছে, রাজ্যে চিকিৎসা করানো না গেলে তবেই ভেলোরে চিকিৎসা করানোর ব্যবস্থা করা হবে, পাশাপাশি অর্থের অপচয় রোধ করাও সম্ভব হবে। অন্যদিকে, এই বছরও দুয়ারে সরকার প্রকল্পে স্বাস্থ্যসাথীর স্টল থাকছে। সেখানেও নতুন কার্ড বানানোর পাশাপাশি চলছে সংশোধন বা আধার সংযোগের মতো কাজ। সেখানে মানুষের কোনও সমস্যা থাকলে তাঁদের সেই সমস্যার পরিষেবা দেওয়া হবে।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

এসএসসি নিয়ে দেশের সর্বোচ্চ আদালতের রায়ে খুশি শিক্ষা মন্ত্রী ব্রাত্য বসু

হাবিবপুরে দিনভর ভোট বয়কটের ডাক ,সন্ধ্যায় ছড়ালো হিংসা, রক্তাক্ত পুলিশ

জীবনের সব প্রতিবন্ধকতাকে হার মানিয়ে মাধ্যমিকে উত্তীর্ণ দুই বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন ছাত্রী

শিলিগুড়ির ডনবস্কো মোড়ে গাছ ভেঙে পড়ে আহত একজন মহিলা সহ দুই

জঙ্গলমহলে চোলাই মদের বিরুদ্ধে আবগারি দফতর ও পুলিশের ব্যাপক অভিযান

সুপ্রিম রায়ের পরে আবির খেললেন শিক্ষকরা, কলকাতায় ফলের জুস খেয়ে অনশন ভঙ্গ

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর