নিজস্ব প্রতিনিধি: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের(Jadavpur University) বাংলা অনার্সের প্রথম বর্ষের পড়ুয়ায় স্বপ্নদীপ কুন্ডুর(Swapnadeep Kundu) অস্বাভাবিক মৃত্যুর জেরে তাঁর বাবা রামপ্রসাদ কুন্ডুকে ফোন করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee)। তিনি তাঁদের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছিলেন। শনিবার সেই মুখ্যমন্ত্রীর কাছেই স্বপ্নদীপের মা কাতর কন্ঠে আর্জি জানালেন, ‘আমার ছেলের খুনিদের ফাঁসির ব্যবস্থা করুন’। ঘটনাচক্রে স্বপ্নদীপের মৃত্যুর ঘটনায় ধৃত সৌরভ চৌধুরীকে(Sourav Chowdhury) শনিবার আলিপুর আদালতে তোলা হয়। সেখানে পুলিশ তাকে ২৫ অগস্ট পর্যন্ত নিজেদের হেফাজতে চেয়েছিল। যদিও আদালত ২২ অগস্ট পর্যন্ত পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে।
আরও পড়ুন ‘আগে নিজের চেহারা দেখুন’, মোদিকে তীব্র আক্রমণ মমতার
ছেলের মৃত্যুতে হস্টেলের আবাসিকদের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের করেছেন স্বপ্নদীপের বাবা রামপ্রসাদ। খুনের অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা রুজু করেছে কলকাতা পুলিশ। এই ঘটনায় শুক্রবার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তনী এবং হস্টেলের আবাসিক সৌরভকে গ্রেফতারও করা হয়েছে। যদিও সৌরভকে দোষী মানতে নারাজ তার পরিবার। তাঁদের দাবি, ‘স্বপ্নদীপের মৃত্যুতে আমার ছেলে দায়ী নয়। আমার ছেলে ও রকম ছেলেই না। এটা যাদবপুরের ছেলেরাও বলবে যে, সৌরভ এ কাজ করতে পারে না। আমার ছেলে নির্দোষ। ওকে ফাঁসানো হয়েছে। স্বপ্নদীপের বাবা-মা ফাঁসিয়েছে। আমার ছেলের নাম বার বার নেওয়া হচ্ছে।’ দাবি পশ্চিম মেদিনীপু্র জেলার চন্দ্রকোনার বাসিন্দা সৌরভের বাবা নিরূপ চৌধুরী এবং মা প্রণতি চৌধুরীর। যদিও সেটা আবার মানতে নারাজ স্বপ্নদীপের বাবা-মা।
আরও পড়ুন শাহি উদ্বোধনের ইচ্ছা, অথচ পাত্তাই দিচ্ছে না কোনও ক্লাব
এদিন স্বপ্নদীপের মা স্বপ্না কুন্ডু(Swapna Kundu) সংবাদমাধ্যম মারফত মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আর্জি জানিয়ে বলেছেন, ‘যে ছেলে কারও কষ্ট দেখতে পারত না, সেই ছেলেকে ওরা খুন করল! তোমরা কিছু একটা ব্যবস্থা করো। সব জায়গায় যে শুনি পয়সা ছাড়া কাজ হয় না। আমাদের তো পয়সা নেই। ওরা ছাড়া পেয়ে যাবে না তো? টাকা দিলে কি কাজ হবে? সৌরভ, মনোতোষ আরও যারা আছে, তাদের ফাঁসি চাইছেন মুখ্যমন্ত্রী? আমি কি এক বার ওঁকে বলতে পারব যে, আমার ছেলের খুনিদের ফাঁসির ব্যবস্থা করুন! সৌরভের কিছু হবে না? আদালতে হয়তো জামিন পাবে। কিন্তু ঈশ্বর ওর কিছু করবেন না? সৌরভের ফাঁসি হলে ওর মায়ের কোল খালি হবে। কিন্তু আমার বুকের জ্বালা মিটবে। আমি কোনও দিন কারও ক্ষতি চাইনি। এই প্রথম চাইছি, কারও মৃত্যু হোক। ওর ফাঁসি দিতে পারবে তোমরা? একটু ব্যবস্থা করে দাও না! তোমাদের পা ধরে বলছি, সৌরভের কিছু একটা করো তোমরা! সবাইকে ধরবে। কাউকে ছাড়বে না। সৌরভ একা করেনি। এর সঙ্গে একটা গোটা চক্র আছে। সব্বাইকে ধরতে হবে। মুখ্যমন্ত্রী আমার সঙ্গে কথা বলবেন? তোমরা বলে দেখো না? শুধু হাতজোড় করে এক বার বলব, আমার ছেলেকে যারা খুন করেছে তাদের যেন ফাঁসি হয়।’