নিজস্ব প্রতিনিধি: বন্ধুর বাড়ি থেকে রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার হওয়াকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়াল এলাকাজুড়ে। জলপাইগুড়ির বানারহাটের ঘটনা। বন্ধুর বাড়িতে ঘুরতে গিয়েছিলেন ওই যুবক। ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ। জানা গিয়েছে, একই ঘরে বসে মদ্যপান করছিলেন ২ বন্ধু। তখনই শুরু হয় বচসা। আর তা থেকেই খুন। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
বন্ধুর বাড়িতে ছুটি কাটাতে গিয়েছিল যুবক। আর সেই বাড়ি থেকেই উদ্ধার হল রক্তাক্ত দেহ। আনন্দের ঘোরা বদলে গেল নির্মম পরিণতিতে। মৃতের নাম রাজ থাপা। জলপাইগুড়ির বানারহাটের বিরপারা এলাকার গয়রাকাটার হিন্দু পাড়ার ঘটনা। সামনেই রয়েছে চা বাগান। রাজ ঘুরতে এসেছিলেন তাঁর বন্ধু দশরথ ওরাওয়ের বাড়ি। জানা গিয়েছে, রবিবার সন্ধ্যায় মৃত্যু হয়েছে রাজের। দশরথের ভাই প্রথমে দেখতে পান বারান্দা থেকে রক্তে সারা ভেসে গিয়েছে সারা ঘর, পড়ে আছে দাদার বন্ধুর দেহ। তখন ঘরে নেই দাদা। এরপর ভাই খবর দেন এলাকাবাসীদের। স্থানীয়রা ওই দিন অভিযুক্তের বাড়িতে এসে দেখতে পান রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে রাজের দেহ। এরপর খবর দেওয়া হয় পুলিশে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ।
পুলিশ (Police) সূত্রে জানা গিয়েছে, ২ বন্ধু ঘরে বসে মদ্যপান করছিলেন। এরপর কিছু নিয়ে বচসা বাধে ২ জনের। তখনই ধারালো অস্ত্র দিয়ে রাজকে খুন (Murder) করে দশরথ। মৃতদেহের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে একটি বড় পাথর। পুলিশের তৎপরতায় বিন্নাগুড়ি রেল স্টেশন থেকে গ্রেফতার করা হয় দশরথকে। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতকে জেরা করা হচ্ছে। দশরথের নামে এর আগেও খুন সহ একাধিক অভিযোগ ছিল। আরও জানা গিয়েছে, গত ২ দিন রাজ ছিলেন দশরথের বাড়িতেই। মৃতের বাড়ি বীরপাড়া এলাকার তুলসীপাড়া বাগানে। অভিযুক্ত দশরথ এবং মৃত রাজ ২ জনেই বিন্নাগুড়ি এলাকার একটি হোটেলে কাজ করতেন। প্রাথমিক অনুমান, টাকা পয়সা সংক্রান্ত বিষয়ে ২ জনের মধ্যে বচসা শুরু হয়েছিল। এরপর শুরু হয় ধস্তাধস্তি। তখনই দশরথ ছুরি দিয়ে রাজ থাপার গলার নলি কেটে দেয়। ইতিমধ্যেই মৃতের দেহ ময়নাতদন্তের জন্য জলপাইগুড়ি জেলা হাসপাতালে (Hospital) পাঠানো হয়েছে।