নিজস্ব প্রতিনিধি: বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ককে মান্যতা দিতেই স্বামীকে খুন! ক্ষীরপাইয়ের ঘটনায় চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এল পুলিশের হাতে। পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোনার ক্ষীরপাই পুরসভার বাসিন্দা তপন ঘোষ। আচমকাই তাঁর স্ত্রী রূপালি দাবি করেন তাঁর স্বামী রাতে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে বাথরুমে পড়ে গিয়ে মৃত্যু হয়েছে। তড়িঘড়ি এলাকাবাসীদের ডেকে স্বামীর সৎকারের কাজ করতে যান। তখনই মৃত তপন ঘোষের ভাই মহাদেব ঘোষ বাধা দেন। দাদার গলায় ফাঁসের চিহ্ন দেখতে পান আর তখনই দাবি করেন ঘটনার তদন্তের।
শ্মশানে নিয়ে যাওয়ার পথেই ভাই মহাদেব ঘোষ পুলিশে খবর দেন। যার ভিত্তিতে মৃত তপন ঘোষের স্ত্রী রূপালি ও তাঁর প্রেমিক শান্তনু পালকে প্রথমে আটক তারপরে গ্রেফতার করে ক্ষীরপাই ফাঁড়ির পুলিশ। এই ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। মহাদেব ঘোষ জানিয়েছেন, ‘রবিবার বাড়িতে দাদা-বৌদি ও ছোট ভাইঝি ছিল। দাদার মৃত্যুর খবর শুনে কলকাতা থেকে এখানে এসেছিলাম। শ্মশানে নিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি তখন শেষ মুহূর্তে। সে সময় দাদার গলায় একটি ফাঁসের দাগ দেখতে পাই। ছোট ভাইঝিকে জিজ্ঞাসা করে জানতে পারি যে, রাতে বৌদির কাছে একটি লোক এসেছিল। গলায় ফাঁস দিয়ে দাদাকে খুন করেছে সে। এরপর ভাইঝিকে মিথ্যে কথা বলতে বলেছিল বৌদি।’
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মহাদেবের অভিযোগের ভিত্তিতেই তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। মৃত তপনের স্ত্রী রূপালির বিষয়ে এলাকাবাসীরা জানিয়েছেন, ‘এক নাবালক ছেলে ও দুই মেয়েকে নিয়ে সংসার তপন-রূপালির। তবে একাধিক পরকীয়া সম্পর্ক নিয়ে রূপালির সঙ্গে তপনের প্রায়শই অশান্তি হত।’ এই বিষয়ে রূপালির দেওর জানিয়েছেন, ‘অনেকদিন ধরে পরকীয়া চলছে বৌদির। এ নিয়ে বাধা দিতে গেলে লাভ হয়নি। দাদা নিরীহ মানুষ হওয়ায় বুঝিয়ে সুজিয়ে বিষয়টি সামাল দিতে চেয়েছিল। দাদাকে খুনের জন্য বৌদির ফাঁসি চাই।’