নিজস্ব প্রতিনিধি: চিকিৎসা করাতে এসে যুবতীর রহস্যমৃত্যু। মালদা (Malda) মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের সাত তলা থেকে পড়ে মৃত্যু হল এক তরুণীর। বৃহস্পতিবার সকালে মালদা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে এসে সাত তলা থেকে পড়ে ওই যুবতীর মৃত্যু হয়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র চাঞ্চল্য তৈরি হয় হাসপাতাল চত্বরে। ইতিমধ্যে পুলিশ দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে। গোটা ঘটনা খতিয়ে দেখছে তদন্তকারীরা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত যুবতীর নাম সায়েরা খাতুন। ২৬ বছর বয়স তাঁর। রতুয়ার গোবিন্দপুরের বাসিন্দা ছিলেন সায়েরা। মৃত যুবতীর পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার সকালে মালদা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের আউটডোরে চিকিৎসা করাতে এসেছিলেন সায়েরা খাতুন। আউটডোরে চিকিৎসা করাতে এসে হাসপাতালের সাততলার বারান্দা থেকে পড়ে গিয়ে ওই যুবতীর মৃত্যু। এদিন সকালে ওই যুবতী তাঁর দাদা মুখলেসুর রহমানের সঙ্গে মেডিক্যালের আউটডোরে চিকিৎসা করাতে আসেন। আউটডোরে চিকিৎসককে দেখানোর আগে টিকিট করানোর জন্য মুখলেসুর লাইনে দাঁড়িয়েছিলেন।তলাইনে থাকাব অবস্থায় দেখতে পান বোন আশেপাশে নেই। এরপর তাঁর খোঁজ শুরু করলে বাইরে হইচই শুনতে পান তিনি। বাইরে এসে দেখেন আউটডোর সংলগ্ন রাস্তায় পড়ে রয়েছেন সায়েরা। এই ঘটনায় হাসপাতাল চত্বরে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।
অন্যদিকে ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ তড়িঘড়ি ওই যুবতীকে উদ্ধার করে। তড়িঘড়ি চিকিৎসকদের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়। ওই যুবতীর মৃত্যু হয়েছে চিকিৎসকরা জানানোর পর তাঁর দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে পুলিশ। তবে কীভাবে ওই তরুণীর মৃত্যু হল তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। ওই তরুণী সাত তলা থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন নাকি কেউ তাঁকে ঠেলে ফেলে দিয়েছে, নাকি তাঁর মৃত্যুর পেছনে অন্য কোনও কারণ রয়েছে তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা।