নিজস্ব প্রতিনিধি: একদিন যে আসানসোলে(Asansol Constituency) প্রচারে এসে নরেন্দ্র মোদি(Narendra Modi) বেশ বড় মুখ করে বাবুল সুপ্রিয়কে জেতাবার জন্য ভোট চেয়েছিলেন, সেই আসনসোলেই কিনে এবার ভোট প্রচারে আসছেন না তিনি! চমকে যাবেন না, এটাই সত্যি। আগামী ১৩ মে দেশে চতুর্থ দফার ভোটগ্রহণ করা হবে। সেদিন দেশে যে ৯৬টি লোকসভা কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ করা হবে তার মধ্যে আছে বাংলার ৮টি লোকসভা কেন্দ্রও। সেই ৮টি কেন্দ্রের অন্যতম হল রাজ্যের পশ্চিম বর্ধমান জেলার আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রটি। আগামী ১১ তারিখ বিকালেই সেখানে ভোট প্রচারের সময়সীমা শেষ হয়ে যাচ্ছে। অথচ সেই কেন্দ্রেই কিনা ১ দিনের জন্যও ভোটপ্রচারে এলেন না মোদি। ১১ তারিখের মধ্যে আসার কোনও সম্ভাবনাও নেই। অথচ মোদি জমানায় ২০১৪ সালে বাংলার বুকে যে ২টি লোকসভা কেন্দ্রে বিজেপি জয়ী হয়েছিল তার মধ্যে অন্যতম ছিল এই আসানসোল। শুধু ২০১৪ সালেই নয়, ২০১৯ সালেও আসানসোলে বিজেপির টিকিটেই জয়ী হয়েছিলেন বাবুল। অথচ সেই বাবুল আজ না বিজেপিতে আছেন, না মোদির কাছে আসানসোলে আসার সময় আছে। কিন্তু কেন মোদির এই আসানসোল না আসার ইচ্ছা? আদতে প্রশ্ন উঠেছে, পরাজয়ের গন্ধ পেয়েই কী আসানসোলমুখী হচ্ছেন না মোদি?
আসানসোল লোকসভা কেন্দ্র উনিশের ভোটে বিজেপির(BJP) দখলে গেলেও বাবুল সেখান থেকে সাংসদ হিসাবে ইস্তফা দেওয়ার পরে ২০২২ সালের শেষ দিকে যে উপনির্বাচন হয়েছিল তাতে জয়ী হয় তৃণমূল(TMC)। সেখানে তখন আর মোদি হাওয়া কাজ করেনি। এবার লোকসভা নির্বাচনে আসানসোল নিয়ে প্রথম থেকেই মুখ পুড়ে চলেছে বিজেপির। প্রথমে ঘোষণা করা হয় এই আসনে লড়বেন ভোজপুরী গায়ক পবন সিং। কিন্তু তিনি পরেরদিনই জানিয়ে দেন তিনি আসানসোল থেকে প্রার্থী হচ্ছেন না। অনেক পরে সেই কেন্দ্রে পদ্মপ্রার্থী হিসাবে তুলে ধরা হয় বিজেপি সাংসদ সুরেন্দ্র সিং আলুয়ালিয়ার নাম। কিন্তু সেই আলুওয়ালিয়ার জন্য এবার ১টি জনসভাও করলেন না মোদি। স্বভাবতই এবার হাইভোল্টেজ লোকসভা ভোটে(Loksabha Election 2024) আসানসোলে মোদির ভোট প্রচারে না আসা নিয়ে শিল্পাঞ্চলে জল্পনা তুঙ্গে। একই সঙ্গে চূড়ান্ত হতাশায় ডুবে গিয়েছেন বিজেপির স্থানীয় নেতা থেকে কর্মী-সমর্থকরা। তাঁদের আশা ছিল, উপনির্বাচনে এই আসন পদ্মের হাতছাড়া হলেও এবার মোদি একবার এসে ১টা সভা করলেই ফের এই আসনে পদ্মঝড় উঠবে। কিন্তু সেই সম্ভাবনা এবার অন্তত দূরঅস্ত। সুযোগ বুঝে গেরুয়া শিবিরকে বিঁধতে ছাড়ছে না রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। তাঁরা জোর গলায় দাবি করেছে, আসলে পরাজয়ের গন্ধ পেয়েই আসনসোলমুখী হচ্ছেন না মোদি।