নিজস্ব প্রতিনিধি: এক নাবালিকাকে ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠেছিল প্রতিবেশী যুবকের বিরুদ্ধে। রবিবার তাকে ৫ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিল বসিরহাট মহকুমা আদালত। শনিবার ঘটনাটি ঘটেছিল উত্তর ২৪ পরগনা জেলার হাড়োয়ায়। ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়। ঘটনায় পুলিশে অভিযোগ দায়ের করার পর অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে তদন্তকারীরা।
অভিযোগ, হাড়োয়া এলাকার বাসিন্দা এক নাবালিকা শনিবার বাড়িতে একাই ছিল। বাড়িতে রান্নার কাজ করছিল সে। ওই কিশোরীর মা কাজের সূত্রে বাইরে থাকেন। ওই দিন সন্ধ্যায় তার বাবা বাজারে গিয়েছিলেন। আর সেই সুযোগে সপ্তম শ্রেণীর ওই কিশোরী ছাত্রীর বাড়িতে আসে প্রতিবেশী এক যুবক। কেউ না থাকার সুযোগ নিয়ে নাবালিকাকে সে জোর করে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ ওঠে। ভয়ে আতঙ্কে ওই নির্যাতিতা নাবালিকা চিৎকার করলে আশপাশের প্রতিবেশীরা ছুটে আসেন তাদের বাড়িতে। সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থল ছেড়ে পালায় অভিযুক্ত যুবক।
ওই দিন সন্ধ্যায় কিশোরীর বাবা বাজার থেকে বাড়িতে ফিরলে গোটা ঘটনার কথা তাঁকে খুলে বলে সে। ঘটনা শোনার পর রাতেই হাড়োয়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন নির্যাতিতা কিশোরীর বাবা। হাড়োয়া থানার পুলিশ অভিযোগ পাওয়ার পর তৎপরতা শুরু করে। রাতে অভিযুক্ত যুবকের খোঁজে তল্লাশি অভিযানে নামে তদন্তকারী আধিকারিকরা। ঘটনার পর অভিযুক্ত যুবক ওই দিন রাতে নিজের বাড়ি ছেড়ে পালানোর চেষ্টা করে। আর সেই সময় পুলিশের হাতে ধরা পড়ে সে। অন্যদিকে শনিবার রাতেই নির্যাতিতাকে হাড়োয়া গ্ৰামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই তার প্রয়োজনীয় শারীরিক পরীক্ষা করা হয়। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে ধৃত যুবকের নাম রহিম মোল্লা, তার বয়স ৩৫ বছর। ধৃত যুবকের বিরুদ্ধে পকসো আইনে মামলা রুজু করেছে পুলিশ। রবিবার ধৃতকে বসিরহাট মহকুমা আদালতে তোলা হলে, বিচারক পাঁচ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন।