নিজস্ব প্রতিনিধি: অধিকারী পরিবারের গড় বলে পরিচিত কাঁথি পুরসভায় এবার ‘অধিকারহীন’ তারা। কাঁথি পুরসভায় এবার চেয়ারম্যান হচ্ছেন সুবল মান্না। চার দশক পর কাঁথি পুরসভায় অধিকারী পরিবারের কোনো অস্তিত্ব নেই। কাঁথি পুরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ড থেকে জয়ী হয়েছেন সুবল মান্না। কাঁথির রাজনীতিতে পোড় খাওয়া রাজনীতিবিদ তিনি। ৩৭ বছর ধরে সামলেছেন কাউন্সিলরের দায়িত্ব। এই অভিজ্ঞ রাজনীতিবিদকে চেয়ারে বসিয়ে কাঁথিতে এবার নতুন হাওয়া তুলতে চান জোড়াফুল নেতৃত্ব।
অধিকারী পরিবারের সঙ্গে সুবল মান্নার মত-বিরোধের ইতিহাস রয়েছে। এক সময় শিশির অধিকারীর সঙ্গে মতবিরোধ হওয়ায় সুবল মান্নাকে ভোটের টিকিট দেওয়া হয়নি বলে শোনা যায়। কাঁথি পুরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে সে সময় তিনি নির্দল প্রার্থী হিসেবে ভোটে দাঁড়ান। নির্দল হিসাবে সে বার তিনি জিতেও যান। এরপর যোগ দেন জোড়াফুল শিবিরে। গত দু’বছর কাঁথি পুরসভায় প্রশাসকমণ্ডলীর সদস্যও ছিলেন সুবল মান্না। এবার চেয়ারম্যান হিসাবে কাঁথি পুরসভায় দায়িত্ব নিচ্ছেন তিনি। একইসঙ্গে এই পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান হচ্ছেন সুপ্রকাশ গিরি। ১৩ নম্বর ওয়ার্ড থেকে জয়ী হয়েছেন তিনি । সুপ্রকাশ গিরি মন্ত্রী অখিল গিরির ছেলে। কাঁথি পুরসভায় চেয়ারম্যান হতে চলা সুবল মান্নার রাজনীতির জীবন শুরু কংগ্রেসের হাত ধরে। রাজনীতিতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মুখ বলে পরিচিত সুবল।
তৃণমূলের টিকিটে জয়ী সাংসদ শিশির অধিকারী বর্তমানে জোড়াফুল শিবিরে গুরুত্বহীন। তিনি বিজেপির হয়ে ভোট প্রচার করেছিলেন। তাঁর দুই ছেলে এখন গেরুয়া শিবিরে রয়েছেন, শুভেন্দু অধিকারী রাজ্যের বিরোধী দলনেতা হিসাবে দায়িত্ব সামলাচ্ছেন। অন্য ছেলে সৌমেন্দুও রয়েছেন পদ্ম শিবিরে। দিব্যেন্দু অধিকারী তৃণমূলের টিকিটে জিতে তমলুকের সাংসদ হলেও তিনিও গুরুত্বহীন দলে।
অন্যদিকে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার এগরা এবং তমলুক পুরসভার চেয়ারম্যান হচ্ছেন যথাক্রমে স্বপন নায়েক এবং দীপ্তেন্দ্রনারায়ণ রায়। ১১ নম্বর ওয়ার্ড থেকে জয়ী হয়েছেন স্বপন নায়েক। এগরা পুরসভার ১২ নম্বর ওয়ার্ড থেকে জয়ী জয়ন্ত সাউ হচ্ছেন ভাইস চেয়ারম্যান। তমলুকের ১ নম্বর ওয়ার্ড থেকে জিতে চেয়ারম্যান হচ্ছেন দীপ্তেন্দ্রনারায়ণ রায়। ওই পুরসভায় ভাইস চেয়ারম্যান হচ্ছেন লীনা(মাভুই) রায়। ১২ নম্বর ওয়ার্ডে জিতেছেন লীনা।