এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

সিদ্দিকার খবর আর কেউ রাখেন না! এটাই চূড়ান্ত বাস্তব

নিজস্ব প্রতিনিধি: গিনিস বুকে(Guinness Book of World Records )তাঁর নাম উঠেছে আগেই। কেননা তিনিই এখন বিশ্বের মধ্যে সব থেকে লম্বা জীবিত মহিলা। তাঁকে নিয়ে মিডিয়া থেকে রাজনৈতিক জগতের ব্যক্তিত্বরা একটা সময় বেশ হইচই বাঁধিয়েছিলেন। একগাদা আশ্বাসও দিয়েছিলেন। চিকিৎসার ব্যবস্থাও হয়েছিল। কিন্তু তারপর… অসীম নিরাবতা। এখন আর কেউ তাঁর কোনও রকম খোঁজ রাখেন না। তিনি সিদ্দিকা পারভিন(Siddiqa Parvin)। উত্তরবঙ্গের দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বংশীহারি(Bangshihari) ব্লকের শ্রীরামপুর গ্রামের বাসিন্দা সিদ্দিকার উচ্চতা সাড়ে ৮ ফুট। ২০১৩ সালে পৃথিবীর একমাত্র অতিকায় মহিলা হিসেবে গিনিস বুকে নামও উঠেছিল তাঁর। বাড়িতে ছুটে এসেছিল একের পর এক সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধি। রাজ্য সরকার(State Government) ও কেন্দ্র সরকারের তরফেও এসেছিল সাহায্যের আশ্বাস। সেই সব আশ্বাসের কিছু বাস্তব হয়েছে, কিছু এখনও অধরা থেকে গিয়েছে। বরঞ্চ এখন চূড়ান্ত বাস্তব এটাই যে সিদ্দিকা অসুস্থ ও প্রায় চলৎশক্তিহীন হয়ে অথর্ব্য হয়ে বাড়িতে পড়ে রয়েছেন। পাশে দাঁড়াবার কেউ নেই।

২০১৩ সালে প্রথমবার সিদ্দিকার কথা জানা যায়। দিনমজুর বাবা আফাজুদ্দিন ও তার মা মানসুরা বিবির একমাত্র মেয়ে সিদ্দিকার কথা সেদিন দেখে চমকে গিয়েছিল বিশ্ববাসী। গ্রামের রাস্তার কাঁচা ধুলো উড়িয়ে শাসক থেকে বিরোধী দলের নেতানেত্রীদের সেই সময় ভিড় জমেছিল আফাজুদ্দিনের বাড়িতে। জানা গিয়েছিল ২৩ বছর বয়স থেকেই সিদ্দিকার পিটুইটারি গ্রন্থিতে সমস্যা তৈরি হয় সেখানে একটি টিউমার তৈরি হওয়ায়। সেই সময় থেকেই পাল্লা দিয়ে বাড়তে থাকে সিদ্দিকার উচ্চতা ও তাঁর খাবারের চাহিদা। রোজ প্রায় দু’কেজি চালের ভাত খাওয়ার চাহিদা মেটাতে হিমসিম খেতে হয় গরিব পরিবারটিকে। ঠিক মতন খাবার না মেলায় সিদ্দিকা এরপর থেকেই ক্রমশ অসুস্থ হয়ে পড়তে শুরু করেন। ২০১৩ সালে রাজ্য সরকারের তরফে তাঁকে কলকাতায় নিয়ে আসা হয়েছিল। সেই সময় প্রায় ১ মাস ধরে সিদ্দিকার চিকিৎসা করা হয়েছিল এসএসকেএম হাসপাতালে। যদিও তাতে কোনও উন্নতি হয়নি। ২০১৪ সালে লোকসভা নির্বাচনের আগে কংগ্রেস নেতা ওমপ্রকাশ মিশ্রর তত্ত্বাবধানে দিল্লিতে নিয়ে যাওয়া হয় সিদ্দিকাকে। সেখানে এইমসে নিয়ে গিয়ে চিকিত্‍সা করা হয় তাঁর। এমনকি পিটুইটারি গ্রন্থির টিউমারের অস্ত্রপ্রচারও হয়। কিন্তু তারপরেও না সিদ্দিকার উচ্চতা কমেছে না তাঁর খিদে কমেছে।

এখন সিদ্দিকা কার্যত চলৎশক্তিহীন। ভালো করে কথাও বলেন না কারওর সঙ্গে। তাঁর ছবি পর্যন্ত তুলতে দিতে নারাজ তিনি। পারেন না সোজা হয়ে হাঁটতেও। আফাজুদ্দিন ও মানসুরা বিবির এখন একটাই দাবি, রাজ্য সরকার সিদ্দিকার জন্য একতা ভাতার ব্যবস্থা করে দিক যাতে তাঁর খোরাকটা অন্তত যোগান দেওয়া যায়। আর সম্ভব হলে আধার কার্ডটা যেন সরকার একটু করে দেয়। বিনামূল্যে চিকিত্‍সার সঙ্গে বেঁচে থাকার খাবারটুকু অন্তত সিদ্দিকাকে দিক রাজ্য সরকার। যাতে ভবিষ্যতে সিদ্দিকার অল্প হলেও নিশ্চিত সংস্থান থাকে। আর সেই দিনের পথ চেয়ে বসে রয়েছেন সিদ্দিকা ও তাঁর পরিবার।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

গঙ্গারামপুরে মর্মান্তিক পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল দুই যুবকের, তদন্তে পুলিশ

মোদি থেকে শাহ, বিজেপি থেকে ইডি-সিবিআই, মমতার নিশানায় সবাই

পুরীতে জগন্নাথ দর্শন করে নন্দীগ্রামের বাড়িতে ফেরা হল না বর্ণালী দাস বেরার

ঝড়ে বাড়ি হারানো পরিবারদের ৩ দফায় আর্থিক সাহায্যের প্রতিশ্রুতি মুখ্যমন্ত্রীর

জাজপুরের দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৭, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে যাচ্ছেন সুজিত

১৪’র ভোটে হারা প্রার্থীকেই ফের অভিষেকের বিরুদ্ধে দাঁড় করাল বিজেপি

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর