নিজস্ব প্রতিনিধি: দলের নেতৃত্বের ওপর ক্ষেপে ব্যোম হয়ে গিয়েছেন বঙ্গ বিজেপির(Bengal BJP) আদি নেতা ও কর্মীরা। কেননা তাঁরা জানতে পেরেছেন, লোকসভা নির্বাচনের আগে নতুন কমিটি তৈরি করতে চলেছে পদ্মশিবির। সেখানে আদি বিক্ষুব্ধ কর্মীদেরই প্রাধান্য দেওয়া হবে বলে ঠিক করা হয়েছে। কিন্তু প্রধান্য দেওয়ার অর্থ এই নয় যে তাঁদের হাতে কোনও ক্ষমতা দেওয়া হবে। এই নয় যে তাঁদের কোনও ভাল পদ দেওয়া হবে। তাঁদের শুধুই দলের হয়ে প্রচারের কাজে লাগানো হবে। না দেওয়া হবে কোনও গুরুত্ব। না দেওয়া হবে কোনও পদ। কার্যত Use and Throw হিসাবেই ব্যবকার করা হবে। আর এই ঘটনার জেরেই দলীয় নেতৃত্বের ওপর চূড়ান্তরকম ভাবে ক্ষুব্ধ হয়ে গিয়েছেন বঙ্গ বিজেপির আদি নেতা ও কর্মীরা।
আরও পড়ুন ‘আবকে বার ৪০০ পার’, বঙ্গে ২৫ Plus
কী বক্তব্য বঙ্গ বিজেপির আদি নেতা ও কর্মীদের? তাঁদের দাবি, মোদি(Narendra Modi) জমানায় নিয়ম করে প্রতিটি ভোটের আগে তাঁদের সং যোগাযোগ করা হয়। অনেক ভাল ভাল কথা বলা হয়। মনের ক্ষত মেটার মতো কথা বলার পাশাপাশি অনেক কিছু প্রদানের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়। মোটা মাইনের পদ থেকে লোকসভা ও বিধানসভা নির্বাচনের টিকিটের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়। সেই সঙ্গে বলা হতো, এই নির্বাচনটা একটু উতরে দিন! তারপর ভোটে তাঁদের ব্যবকার করে ছুঁড়ে ফেলা দেওয়া হয়। তখন আর কারও কোনও প্রতিশ্রুতির কথা মনে থাকে না। মোদি জমানায় এটাই বিজেপির অলিখিত নীতি হয়ে দাঁড়িয়েছে। কাজের সময় দলের আদি নেতাকর্মীরা হয়ে যান কাজি। আর কাজ ফুরালেই তাঁর হয়ে যান পাজি। তখন তাঁদের আর না কোনও দাম থাকে, না তখন দলের আর কেউ তা৬দের চিনতে পারে। খবরাখবরটাও কেউ নেয় না। তাই এবারে পঞ্চায়েত ও লোকসভা নির্বাচনের আগে তাঁরা আর কোনও প্রতিশ্রুতিতে না কান দিতে চান, না দলের প্রচারে পা মেলাতে চান।
আরও পড়ুন মে মাসেই সম্ভবত পঞ্চায়েত নির্বাচন, চলতি মাসেই ভোটকর্মীর তালিকা
বাংলায় এখন শাসক দল তৃণমূলের জনসংযোগ কর্মসূচির ‘অনুকরণে’ বুথ সশক্তিকরণ কর্মসূচি শুরু করেছে বঙ্গ বিজেপি। পঞ্চায়েত ভোটের আগে গ্রাম বাংলার মানুষের বাড়ি বাড়ি যাচ্ছে গেরুয়া শিবিরের কর্মীরা। পাশাপাশি তুলে ধরা হচ্ছে রাজ্য সরকারের বিভিন্ন দুর্নীতির বিষয়গুলি। যাতে ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা হলেই পুরোদমে প্রচারে নামা যায়। তবে পাখির চোখ সেই লোকসভার ভোট(General Election 2024)। পঞ্চায়েত ভোটের পাশাপাশি লোকসভা নির্বাচনের জনসংযোগ সেরে নেওয়ার প্রস্তুতি শুরু করেছে পদ্ম শিবির। তার জন্যই কমিটি গঠন করা হচ্ছে, যাদের কাজ হবে শুধুমাত্র কেন্দ্রীয় সরকারের প্রকল্পের প্রচার করা। উজ্জ্বলা গ্যাস, প্রধানমন্ত্রী গ্রামীণ সড়ক যোজনা, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা সহ মোট ন’টি প্রকল্পকে তুলে ধরা হবে। প্রত্যেক জেলায় লোকসভা ভিত্তিক এই কমিটি তৈরি করা হবে। সেখানে প্রাধান্য পাবেন দলেরই বিক্ষুব্ধ আদি নেতা ও কর্মীরা। প্রাধান্য দেওয়া হবে মহিলাদেরও। কিন্তু তাতে আদৌ কিছু লাভ হবে কিনা তা নিয়েই প্রশ্ন উঠে গিয়েছে।