নিজস্ব প্রতিনিধি: নদিয়ার হাঁসখালিতে নাবালিকা ধর্ষণ-কাণ্ডে রবিবার মূল অভিযুক্ত ব্রজগোপাল গয়ালিকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। এবার এই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ব্রজগোপালের বন্ধু প্রভাকর পোদ্দারকে গ্রেফতার করল তদন্তকারীরা। ব্রজগোপালকে জেরা করে প্রভাকরের নাম জানা যায় বলে দাবি পুলিশের। ঘটনার দিন প্রভাকর ঘটনাস্থলে ছিলেন বলে জেরায় জানিয়েছেন মূল অভিযুক্ত ব্রজগোপাল গয়ালি।
প্রসঙ্গত, গত ৫ এপ্রিল নদিয়া জেলার হাঁসখালি থানার শ্যামনগরে এক নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। নাবালিকা প্রেমিকাকে জন্মদিনের পার্টিতে ডেকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে ব্রজগোপাল গয়ালি নামে এক যুবকের বিরুদ্ধে। তীব্র যন্ত্রণা এবং অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের ফলে ওই নাবালিকার মৃত্যু হয়। এর পর এই ঘটনা নিয়ে শোরগোল পড়ে যায় রাজ্য রাজনীতিতে। প্রমাণ লোপাটের জন্য নাবালিকার দেহ ‘জোর করে’ শ্মশানে দাহ করে ফেলা হয় বলে অভিযোগ ওঠে। এর পর চাইল্ড লাইনের সহযোগিতায় নির্যাতিতার পরিবার ঘটনার চার দিন পর হাঁসখালি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত ব্রজগোপালকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তার বিরুদ্ধে ধর্ষণ, খুন-সহ বেশ কয়েকটি ধারায় মামলা রুজু করা হয়। মামলা রুজু করা হয়েছে পকসো আইনেও। ব্রজগোপালকে আদালতে তুললে ১৪ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেয় কোর্ট।
পুলিশ মূল অভিযুক্ত ব্রজগোপালকে জিজ্ঞাসাবাদ করে তার বন্ধু প্রভাকর পোদ্দারের নাম পায়। আর এর পর প্রভাকরকে গ্রেফতার করেন তদন্তকারীরা। মঙ্গলবার তাঁকে রানাঘাট মহাকুমা আদালতে তোলা হবে। অন্যদিকে হাঁসখালি ধর্ষণ-কাণ্ডে সোমবার জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছে কলকাতা হাই কোর্টে। সুস্মিতা সাহা দত্ত নামে এক আইনজীবী জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন। মামলাটির দ্রুত শুনানির জন্য আর্জি জানানো হয়।