নিজস্ব প্রতিনিধি: পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পরিষদ (Paschim Medinipur Zilla Parishad) ইংরেজ আমলের। এখানেই রয়েছে ‘লাল ভবন’। যার ভূমিকা জেলা- রাজ্য তথা দেশের ইতিহাসে অপরিসীম। ঐতিহ্যশালী লাল ভবনকে ‘হেরিটেজ’ (Heritage) মর্যাদা দেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে। ইতিমধ্যেই জেলার সমস্ত দফতরে আবেদনপত্র জমা পড়েছে। ‘হেরিটেজ জার্নি’র পক্ষ থেকে ২ বার আবেদনপত্র দেওয়া হয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলাপরিষদের সভাধিপতি উত্তরা সিংহ হাজরার দফতরেও। ওই সংগঠনের পক্ষ থেকে এই বিষয়ে সাক্ষাৎ করা হয়েছিল জেলা পরিষদের সভাধিপতি উত্তরা সিংহ হাজরা এবং জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশ কর্মাধ্যক্ষ শ্যামপদ পাত্রের সঙ্গে। সেই আবেদনকে মান্যতা দিল পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পরিষদ। উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে ‘হেরিটেজ’ মান্যতা আদায়ের।
১৯৩২ সালের ৩০ এপ্রিল ব্রিটিশ সরকারের আধিকারিকদের বৈঠক চলাকালীন এখানেই দেশপ্রেমিক- বিপ্লবীরা গুলি করে হত্যা করেছিলেন তৎকালীন অত্যাচারী জেলাশাসক ডগলাসকে। নেতৃত্বে ছিলেন শহীদ প্রদ্যোৎ ভট্টাচার্য ও প্রভাংশু পাল। ডগলাসের সেই সমাধি এখনও রয়েছে মেদিনীপুরের স্টেশন রোড সংলগ্ন পুরানো গির্জা’র চত্বরে। দেশ স্বাধীন করার আন্দোলনে জেলাশাসক হত্যার পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য ১৯৩৩ সালের ১২ জানুয়ারি ফাঁসি হয় দেশ জননীর এই বীর পুত্রের।
১৯৩২ সালের ৩০ এপ্রিল ব্রিটিশ সরকারের আধিকারিকদের বৈঠক চলাকালীন এখানেই দেশপ্রেমিক- বিপ্লবীরা গুলি করে হত্যা করেছিলেন তৎকালীন অত্যাচারী জেলাশাসক ডগলাসকে। নেতৃত্বে ছিলেন শহীদ প্রদ্যোৎ ভট্টাচার্য ও প্রভাংশু পাল। ডগলাসের সেই সমাধি এখনও রয়েছে মেদিনীপুরের স্টেশন রোড সংলগ্ন পুরানো গির্জা’র চত্বরে। দেশ স্বাধীন করার আন্দোলনে জেলাশাসক হত্যার পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য ১৯৩৩ সালের ১২ জানুয়ারি ফাঁসি হয় দেশ জননীর এই বীর পুত্রের।
যে জায়গায় প্রদ্যোৎ ভট্টাচার্য ও প্রভাংশু পাল এই দুই:সাহসিক ঘটনা ঘটিয়েছিলেন, সেই জায়গা বর্তমান পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পরিষদ। এখানে আজও ব্রিটিশ স্থাপত্য লাল বিল্ডিং চোখে পড়ে। এই ভবন অখন্ড মেদিনীপুর জেলা, রাজ্য তথা দেশের স্বাধীনতা আন্দোলনের ইতিহাসে এক উল্লেখযোগ্য স্থান। এই ঘটনা ইতিহাসের পাতায় স্বর্ণাক্ষরে লেখা হয়ে আছে। তাঁর নামাঙ্কিত এখানের অডিটোরিয়াম, ‘শহিদ প্রদ্যোৎ স্মৃতি সদন’। সামনেই রয়েছে তাঁর পূর্ণাবয়ব মূর্তি।
জেলাবাসীর আবেদন ছিল, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পরিষদের ঐতিহ্যমণ্ডিত এই পুরনো লাল বিল্ডিং-কে খাতায়-কলমে হেরিটেজ মর্যাদা দেওয়া হোক। জেলা পরিষদের সভাধিপতি ও জেলা আধিকারিকরা উদ্যোগী হয়ে রাজ্য হেরিটেজ কমিশন- এর কাছে আবেদন করলে জেলাবাসী তথা আপামর ইতিহাস প্রিয় মানুষ খুশি হবে।
ইতিমধ্যেই ‘হেরিটেজ জার্নি’ সংগঠন এই আবেদন জানিয়েছে জেলার সমস্ত প্রশাসনিক দফতরে। ২ বার আবেদনপত্র জমা দেওয়া হয়েছিল জেলাপরিষদের সভাধিপতি উত্তরা সিংহ হাজরা মহাশয়ের দফতরে। ‘হেরিটেজ জার্নি’ সংগঠনের ২ সদস্যের প্রতিনিধি দল এই আবেদন নিয়ে সাক্ষাৎ করেন জেলাপরিষদের সভাধিপতি উত্তরা সিংহ হাজরা এবং জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশ কর্মাধ্যক্ষ শ্যামপদ পাত্রের সঙ্গে। জেলাপরিষদের ঐতিহাসিক লাল ভবন হেরিটেজ মর্যাদা পাক, এতে সহমত পোষণ করেছিলেন জেলা পরিষদের সভাধিপতি ও কর্মাধ্যক্ষ। সেই দাবিকে মান্যতা দেওয়ার জন্য উদ্যোগ নেওয়া হবে বলে জানিয়েছিলেন জেলা সভাধিপতি ও কর্মাধ্যক্ষ।
কর্মাধ্যক্ষ জানিয়েছেন, ইতিমধ্যে আবেদন করা হয়ে গিয়েছে। আবেদন জানানো হয়েছে হেরিটেজ কমিশনে। সূত্রের খবর, এই বিষয়ে একটি চিঠি দেওয়া হয়েছিল জেলা তথ্য ও সংস্কৃতি দফতরের আধিকারিককে। চিঠি দিয়েছিলেন কর্মাধ্যক্ষ শ্যামপদ পাত্র। উল্লেখ্য, এর আগে রাজ্য হেরিটেজ কমিশনে তথ্য ও ছবি সহ মেল করেছিল ‘হেরিটেজ জার্নি’ সংগঠন। কর্মাধ্যক্ষ শ্যামপদ পাত্র আশাবাদী, জেলা পরিষদকে হেরিটেজ মান্যতা খুব শীঘ্রই দেবে রাজ্য হেরিটেজ কমিশন। আর এই খবরে উৎফুল্ল জেলাবাসী।