নিজস্ব প্রতিনিধি: ঝাড়খণ্ডের সীমা ঘেঁষে গড়ে ওঠা ঝালদা(Jhalda) পুরসভার কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দুকে খুন করার ঘটনায় পুলিশ এবার সন্দেহভাজন সুপারি কিলারের স্কেচ প্রকাশ করল। সেই সঙ্গে তাঁরা জানিয়ে দিয়েছেন, এই সুপারি কিলারকে ধরিয়ে দিলেই মিটবে মোটা ইনাম। তবে যে সেই খোঁজ দেবেন তাঁর নাম ও পরিচয় সম্পূর্ণ ভাবে গোপন রাখা হবে। পুরুলিয়ার(Purulia) পুলিশ(Police) সুপার এস সেলভা মুরুগান এই তথ্য জানিয়েছেন। তিনি এটাও জানিয়েছেন, ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীর বয়ানের ভিত্তিতেই এই স্কেচ আঁকা হয়েছে। ওই ব্যক্তি শার্প শুটার হিসাবেই ঝাড়খণ্ডে মূলত খুনের কাজ করে বেড়ায়। এই সুপারি কিলার ধরা পড়লে তবেই সামনে আসতে পারে কে বা কারা তপন কান্দুকে খুন করার জন্য মোটা টাকার সুপারি দিয়েছিল।
তবে ঘটনা এটাই যে তপন কান্দুকে(Tapan Kandu) কে বা কারা খুন করিয়েছে তা নিয়ে চট করে কেউই জোর গলায় কিছু বলতে পারছেন না। মুখ্যমন্ত্রী অবশ্য এই ঘটনায় পারিবারিক বিবাদের দিকেই আঙুল তুলেছেন। তৃণমূলের তরফেও সেই রকমই দাবি করা হচ্ছে। পুলিশও প্রাথমিক ভাবে এই ধরনের সম্ভাবনার কথাই জানাচ্ছে। সেই পথে হাঁটা দিয়েই পুলিশ তপনবাবুর ভাইপো দীপক কান্দুকে(Deepak Kandu) গ্রেফতারও করেছে। কিন্তু এখন অনেকেই মনে করছেন ঝালদাবাসীর ক্ষোভ প্রশমণ করতেই পুলিশ দীপককে গ্রেফতার করেছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত তাঁদের হাতে এমন কোনও প্রমাণ নেই বা তাঁরা এমন কোনও প্রমাণ তুলে ধরতে পারেননি যা দিয়ে বলা যাবে দীপক এই খুনের মাস্টারমাইন্ড। বরঞ্চ আমজনতার একাংশের অভিযোগ, খুনের ঘটনার পিছনে ব্যবসায়িক বিবাদও থাকতে পারে। কেননা তপনবাবু রাজনীতি করার পাশাপাশি প্রমোটারির ব্যবসাও ছিল। সেই সূত্রে শত্রুও তৈরি হয়েছিল। তপনবাবু পুরপ্রধান হয়ে গেলে সেই প্রোমোটারি ব্যবসা একতরফ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনাও অনেকটাই ছিল। সেই জায়গা থেকে খুনের বরাত দেওয়া অস্বাভাবিক কিছু নয়। এই অনুমান কতখানি মিলবে তা অবশ্য অনেকটাই নির্ভর করছে ঘটনায় জড়িত সুপারি কিলার ধরা পড়ার ওপরে।