এই মুহূর্তে




ফুলটুসি বেগমের ফ্ল্যাটের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখছে হাওড়া সিটি পুলিশ




নিজস্ব প্রতিনিধি: হাওড়ায় দেহব্যবসা ও পর্ন ভিডিও কাণ্ডে এখনও পলাতক অভিযুক্ত মা ফুলটুসি ওরফে শ্বেতা খান এবং ছেলে আরিয়ান খান। তাঁদের সন্ধানে তদন্তে নেমেছে হাওড়া সিটি থানার পুলিশ। বিভিন্ন জায়গায় তাঁরা তল্লাশি অভিযান শুরু করেছে। ইতিমধ্যেই পুলিশের হাতে চলে এসেছে অভিযুক্তদের বাড়ির CCTV ফূটেজ। হাওড়ার বাঁকরায় অবস্থিত তাঁদের বাড়িতে সিসি ক্যামেরা লাগানো ছিল। এবার পুলিশ এই সিসি ক্যামেরার হার্ডড্রাইভ উদ্ধার করতে মাঠে নেমেছে। কারণ সিসিটিভি দিতে পারে, মা ও ছেলের বাড়িতে কারা যাতায়াত করতেন সেই খোঁজ। এদিকে ওই এলাকার রাস্তার সিসিটিভি ফুটেজগুলোও খতিয়ে দেখছে পুলিশ। হাওড়ার মা ও ছেলের এই মধুচক্রের বিষয়টি সামনে আসে গত সপ্তাহে। যখন উত্তর ২৪ পরগনার সোদপুরের তরুণীকে অভিযুক্ত মা ও ছেলে হাওড়ার ডোমজুড়ে তাঁদের বাড়িতে আটকে রেখে দীর্ঘদিন ধরে অত্যাচার চালানোর ঘটনা সামনে এসেছিল।

মেয়েটি খড়দা থানায় অভিযোগ করেছেন যে, তাঁকে ইভেন্টে কাজ পাইয়ে দেওয়ার নামে আরিয়ান তাঁর মায়ের কাছে নিয়ে যায়। এরপর তাঁরা তাঁকে প্রথমে বার ডান্সার ও পর দেহ ব্যবসায় নামতে বলে। মেয়েটি রাজি না হওয়ায় তাঁকে দীর্ঘদিন মা ও ছেলে তাঁদের বাড়িতে আটকে রাখেন, মেয়েটির চুল কেটে দেয়। তাঁর উপর বিভিন্নভাবে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালায়। এরপর মেয়েটি আর সহ্য করতে না পেরে ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা বন্ধ করে কোনক্রমে বাড়িতে পালিয়ে আসেন। এবং খড়দা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। 

পুলিশ জানিয়েছে, হাওয়ার ডোমজুড়ে দীর্ঘদিন ধরে সেই ফ্ল্যাটে ভাড়া থাকতেন ফুলটুসি এবং আরিয়ান। কিন্তু মেয়েটি তাঁদের কীর্তি ফাঁস করতেই গা ঢাকা দিয়েছেন মা ও ছেলে। এই বিষয়ে এলাকার মানুষজন বলেছেন, নানারকম অসামাজিক কাজকর্মের সঙ্গে জড়িত ছিলেন অভিযুক্ত মা ও ছেলে। তাঁদের হাত অনেক দূর ছিল। স্থানীয় কেউ প্রতিবাদ করলেই তাঁদের মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়ার হুমকি দিতেন ফুলটুসি বেগম। পুলিশ তদন্তে আরও উঠে এসেছে যে, কাজ পাইয়ে দেওয়ার নামে শ্বেতা ও আরিয়ান পর্ন ভিডিওর ব্যবসা চালাতেন। পুলিশ এখন পলাতক মা-ছেলের পরিবারের লোকজনদের ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন। পুলিশ আরও জানতে পেরেছে যে, শ্বেতা এবং আরিয়ানের প্রযোজনা সংস্থা খুলে ছবিতে কাজ পাইয়ে দেওয়ার নাম করে অল্পবয়সিদের প্রলুব্ধ করতেন। এরপর তাদের নিয়েই পর্ন ভিডিয়োর ব্যবসা চালাতেন। অনেককে জোর করে দেহব্যবসাতেও বানিয়েছেন। এমনকী সোদপুরের তরুণীকে একবার কুলু-মানালিও নিয়ে গিয়েছিল অভিযুক্ত মা-ছেলে, তবে কী কারণে তাঁরা তাঁকে নিয়ে গিয়েছিল ভিন রাজ্যে, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

তরুণীর লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেট এই অভিযোগ হাওড়া সিটি পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে। এর পরেই ডোমজুড় থানার পুলিশ র‌্যাফ নিয়ে অভিযুক্তদের বাড়িতে গিয়ে দেখেন তাঁদের বাড়ির দরজায় তালা ঝুলছে। এখন তাঁদের বাড়িতে তল্লাশি চালাতে চান তদন্তকারীরা। কারণ সেখান থেকে অনেক তথ্য মিলতে পারে। সেই জন্যে পুলিশ আদালতে যেতেও প্রস্তুত। 




Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

জাঙ্গিপাড়ায় দীর্ঘ ৭ ঘন্টার চেষ্টায় গভীর নলকূপ থেকে কঙ্কাল সার দেহ উদ্ধার পুলিশের

আলিপুরদুয়ারে গাঁজা পাচার করতে গিয়ে গ্রেফতার দুই সিভিক ভলান্টিয়ার ও এক হোম গার্ড

চাকরি দেওয়ার প্রলোভনে ও বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাস, গ্রেফতার যুবক

নাবালিকার বিয়ে আটকে দিলেন প্রশাসন ও পুলিশ আধিকারিকরা, সচেতন বার্তা পরিবারকে

জন্মের আগেই পেটে থাকা সন্তান এবং মায়ের মৃত্যু ঘিরে চাঞ্চল্য মালদায়

কুলতলিতে টেবিল ফ্যানে বিদ্যুৎ স্পৃষ্ট হয়ে গৃহবধূর মৃত্যু, তদন্ত পুলিশ

Advertisement




এক ঝলকে
Advertisement




জেলা ভিত্তিক সংবাদ