নিজস্ব প্রতিনিধি, হরিশ্চন্দ্রপুর: ‘বিশ্ববাংলা’র লোগো থেকে ‘খেলা হবে’। মণ্ডপসজ্জাতেই ফুটে উঠেছে সবটা। জয়ীর ফুটবলের ন্যায় গড়ে উঠেছে মূল মণ্ডপ। তার ভেতরে রয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিভিন্ন রূপ। আর তাঁর আমলে চালু হওয়া পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বিভিন্ন জনমুখী প্রকল্পের বর্ণনা করা হয়েছে। অভিনব এই থিম দেখা গেল মালদার হরিশ্চন্দ্রপুর থানা এলাকার পিপলা গ্রামের রামকৃষ্ণ ফ্যান ক্লাবের পুজোয়। এই থিম দেখতেই উপচে পড়ছে ভিড়।
ক্লাবের সম্পাদক বুলবুল খান, তিনি জেলা তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদকও। তিনি জানান, ক্লাবে সামনে বড় মাঠ। মাঠের মাঝখানে ফুটবলাকৃতির মণ্ডপ তৈরি করা হয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মূর্তি বানিয়ে দশভূজা হিসাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। তাঁর দশ হাতে রাজ্যের সেরা দশটি প্রকল্প রয়েছে। এছাড়াও মণ্ডপের চতুর্দিকে মমতার একাধিক মূর্তি রয়েছে। কোথাও তিনি বৃদ্ধা মায়ের কাছে স্বাস্থ্যসাথীর সুবিধা তুলে দিচ্ছেন, কোথাও স্কুলের ছাত্রীকে সাইকেল। মূল ডায়াসের সামনে হুইল চেয়ারে ভাঙা পা নিয়েও মমতার মূর্তি বানানো হয়েছে। ওই মূর্তির হাতে রয়েছে ফুটবল। অভিনব এই থিম এবারে হরিশ্চন্দ্রপুরবাসীর প্রশংসা কুড়োচ্ছে।
বুলবুল খান বলেন, ‘আমাদের প্রিয় দিদিকে নিয়ে এবারে আমাদের পুজো মণ্ডপের থিম সাজিয়েছি। এই থিমের মাধ্যমে যেমন একদিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শুরু করা রাজ্যের বিভিন্ন জনকল্যাণমুখী প্রকল্প কন্যাশ্রী, রূপশ্রী, যুবশ্রী, খাদ্যসাথী প্রভৃতি তুলে ধরা হয়েছে। তেমনই আমরা আসন্ন ত্রিপুরা ভোটে খেলা হবে এই স্লোগানকে সামনে রেখে ফুটবলের আদলে মণ্ডপের রূপ দিয়েছি। যদিও দেবী দুর্গার মৃণ্ময়ী রূপের প্রতিমা রাখা হয়েছে পাশেই। ওই প্রতিমার সামনেই বসানো হয়েছে পুজোর ঘট।’
তা সত্ত্বেও বিরোধী শিবির এই টিপ্পনি কাটতে ছাড়ছে না। প্রসঙ্গত, এর আগে গণেশ পুজোর সময়ও জেলা সাধারণ সম্পাদক বুলবুল খানের উদ্যোগে পুজো করেছিল ক্লাব। সেখানেও গণেশকে কোলে বসিয়ে মমতাকে দুর্গার রূপ দেওয়া হয়েছিল। তা নিয়েও জেলাজুড়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছিল। ব্যতিক্রম হল না দুর্গাপুজোও।