নিজস্ব প্রতিনিধি: ঝালদার কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দু খুনের ঘটনায় রাজনীতির যোগ নেই। পারিবারিক কারণে তপন কান্দুকে খুন করা হয়েছে বলে জানালেন পুরুলিয়ার জেলা পুলিশ সুপার এস সেলভামুরুগন। রবিবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি একথা বলেন। একইসঙ্গে জেলা পুলিশ সুপার জানান, এই খুনের ঘটনায় ঝালদা থানার আইসি সঞ্জীব ঘোষের কোনও যোগ নেই।
এদিন পুলিশ সুপার জানান, তপন খুনের ঘটনায় মূল ষড়যন্ত্রী নরেন কান্দু। দাদা নরেনই মেরেছেন ভাই তপনকে। পুলিশের কাছে সেই সংক্রান্ত প্রমাণও রয়েছে। তপন কান্দুর দাদা নরেন কান্দুকে শনিবার টানা জেরা করেছে গোয়েন্দারা। সেখানেই তপন খুনের বিষয়ে অনেক অজানা কথা উঠে এসেছে। ওইদিনই নরেনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পাশাপাশি আসিফ খান নামের এক ব্যবসায়ীকেও গ্রেফতার করে তদন্তকারীরা। রবিবার দুজনকে পুরুলিয়া আদালতে হলে ১৪ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি।
তপন খুন নিয়ে শনিবার পুলিশ সুপার জানিয়েছিলেন ‘‘ওই খুনের উদ্দেশ্য নিয়ে একটি বিষয় জানাতে চাই। এটা পারিবারিক ঝামেলার কারণে খুন। ভাইয়ে ভাইয়ে লড়াই। খুনের উদ্দেশ্য নিয়ে আর কোনও সন্দেহ নেই।’’ রবিবার সাংবাদিক বৈঠকে পুলিশ সুপার বলেন, নরেন তার ভাই তপনকে খুন করেছেন পুলিশের হাতে প্রমাণ রয়েছে। তবে তদন্তের স্বার্থে সে বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানাননি তিনি। ‘‘সব প্রমাণ আদালতের হাতে তুলে দেওয়া হবে’’ বলে জানান পুরুলিয়া জেলা পুলিশ সুপার। নিহত কাউন্সিলরের স্ত্রী পূর্ণিমা কান্দু আগেই ঝালদা থানার আইসি এই ঘটনায় জড়িত আছেন বলে অভিযোগ করেছেন। সে প্রসঙ্গে এদিন পুলিশ সুপার বলেন, ‘‘আমাদের হাতে যা তথ্য রয়েছে, তা পরিষ্কার তপন কান্দু খুনের ঘটনায় আইসি-র কোনও যোগ নেই।’’