27ºc, Haze
Saturday, 2nd July, 2022 7:21 am
নিজস্ব প্রতিনিধি: ২২ মে বাংলার রাজা রামমোহন রায়ের (RAJA RAM MOHAN ROY) সার্ধ দ্বিশত জন্মবার্ষিকী। তিনি মানেই বাংলার নবজাগরণ, সতীদাহ প্রথা রদ, ব্রাহ্মসমাজ, সাহিত্য, সম্পাদক, গান, ভাষা, আরও কত কী! এককথায় ব্যাখ্যা করা যায় না তাঁর মত স্মরণীয়কে। রবিবার তাঁর জন্মদিবস পালিত হচ্ছে দেশ- বিদেশে। সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে কোথাও আড়ম্বরে আবার কোথাও ঘরোয়া ভাবে স্মরণ করা হচ্ছে বরেণ্য মহাপুরুষকে। কিন্তু জানেন কি, তিনি এসেছিলেন মেদিনীপুরে?
তখন মেদিনীপুর মানে অবিভক্ত মেদিনীপুর। তিনি যেখানে এসেছিলেন সেই জায়গা এখন পড়ে পূর্ব মেদিনীপুরের খেজুরীতে। তা এখন প্রাচীন খেজুরী বন্দর। ১৮৩০ সালের ২০ নভেম্বর তৎকালীন খেজুরী বন্দর থেকেই বিলেত যাত্রা করেছিলেন তিনি। শুধু তাই নয়, তার আগের দিন খেজুরীতেই এসে রাত্রিযাপন করেন তিনি। উল্লেখ্য, এখানে রয়েছে রাজা রামমোহন রায়ের পূর্ণাবয়ব মূর্তি। তাঁর জন্মভিটা হুগলির রাধানগর গ্রামে। সেখান থেকে মাটি এনে মহাপুরুষের পূর্ণাবয়ব মূর্তির বেদীতে স্থাপনও করা হয়েছিল।
রাজা রামমোহন রায় বিলেত যাত্রার সময় কলকাতা থেকে ফোর্বস স্টিমারে করে খেজুরী আসেন। সময়টা ১৮৩০ সালের ১৯ নভেম্বর। ওইদিন রাত্রিযাপন করেন তিনি। এরপর ২০ নভেম্বর পালতোলা আলবিয়ন জাহাজে চেপে ইংল্যান্ডের উদ্দেশ্যে রওনা দেন তিনি। তাঁর জন্মদিবস, খেজুরী আসা ও থাকার দিন, খেজুরী থেকে যাওয়ার দিন, প্রয়াণ দিবস ও সতীদাহপ্রথা রদের দিন বিশেষ ভাবে পালন করে খেজুরীবাসী। প্রসঙ্গত, এই বন্দর থেকেই বিলেত যাত্রা করেছিলেন দ্বারকানাথ ঠাকুর। তাঁকেও স্মরণ করা হয় যথাযথ মর্যাদায়।