নিজস্ব প্রতিনিধি: সিআইডি তদন্ত করছে বকটুই কাণ্ডের মূল অভিযুক্ত লালন শেখের রহস্য মৃত্যুর। আদালতে সিবিআইয়ের দাবি ছিল, ‘এই অভিযোগ স্টেট স্পনসর্ড’। তবে সেই দাবি উড়িয়ে দিলেন মৃতের স্ত্রী। সাফ জানালেন, তাঁর উপস্থিতিতেই এফআইআর হয়েছে।
মৃতের স্ত্রী জানিয়েছিলেন, তিনি চান না লালনের দেহ কবর থেকে তুলে দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্ত হোক। গত বুধবার হাইকোর্ট দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্তের নির্দেশে স্থগিতাদেশ দেয়। অন্যদিকে, ডিভিশন বেঞ্চেও ধাক্কা খেয়েছে সিবিআই। আদালতের নির্দেশ, অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনার তদন্ত করবে সিআইডি। অন্যদিকে, সিবিআইকে লালন মৃত্যুর রিপোর্ট জমা দেওয়ার জন্য সময়সীমা বেঁধে দেয় আদালত। প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ, সিবিআইকে আগামী ১৯ ডিসেম্বরের মধ্যে বিভাগীয় তদন্তের রিপোর্ট পেশ করতে হবে। আগামী শুনানি হবে ওই দিনেই।
উল্লেখ্য, ৭ জন সিবিআই (CBI) আধিকারিকের বিরুদ্ধে খুন, তোলাবাজি সহ একাধিক অভিযোগ দায়ের করেছেন লালনের স্ত্রী। নাম রয়েছে সিবিআইয়ের ডিআইজি, এএসপি, সুশান্ত ভট্টাচার্য এবং স্বরূপ দে’র।
অন্যদিকে, লালন মৃত্যুর নথি আনতে রামপুরহাট আদালতে গিয়েছে সিআইডি (CID) আধিকারিকরা। রামপুরহাট অস্থায়ী সিবিআই ক্যাম্পেও গিয়েছে সিআইডি’র ফরেন্সিক দল। দ্বিতীয়বার সংগ্রহ করেছে নমুনা। সমস্ত ঘটনার ভিডিওগ্রাফি করা হচ্ছে।