নিজস্ব প্রতিনিধি: অবশেষে সিবিআইয়ের(CBI) অস্থায়ী ক্যাম্পে গিয়ে হাজিরা দিলেন পুরুলিয়া জেলার ঝালদা(Jhalda) পুরসভার চার বারের কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দু(Tapan Kandu) খুনের ঘটনায় বিতর্কিত পুলিশ আধিকারিক তথা ঝালদা থানার আইসি সঞ্জীব ঘোষ(IC Sanjib Ghosh)। বৃহস্পতিবার সকালে তিনি সিবিআইয়ের ক্যাম্পে যান। এর আগেও তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য সিবিআইয়ের তরফে ডেকে পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু তিনি হাজিরা দেননি। এদিন অবশ্য তিনি নেজেই এসেছেন সিবিআইয়ের অস্থায়ী ক্যাম্পে। প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, তপন কান্দু খুনের দিন ঘটনাস্থলের খুব কাছে পুলিশের নাকা পয়েন্ট থাকলেও কেন দ্রুত তাঁরা ঘটনাস্থলে পৌঁছাননি সেই বিষয়ে যেমন আইসিকে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন সিবিআই আধিকারিকেরা তেমনি নিরঞ্জন বৈষ্ণবকে(Niranjan Baishanab) জিজ্ঞাসাবাদ করার নামে থানায় ডেকে এনে হুমকি ধমকি প্রদান ও হয়রানি করার যে অভিযোগ উঠেছে তা নিয়েও আইসিকে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন সিবিআই আধিকারিকেরা।
তপন কান্দু খুনের ঘটনায় প্রথম থেকেই তপনবাবুর পরিবারের তরফে ঝালদা থানার আইসি সঞ্জীব ঘোষের বিরুদ্ধে আঙুল তোলা হচ্ছিল। তপনবাবুর স্ত্রী তথা কংগ্রেস কাউন্সিলর পূর্ণিমা কান্দু বার বার দাবি করেছেন আইসি’র নেতৃত্বেই তাঁর স্বামীকে ষড়যন্ত্র করে খুন করা হয়েছে। কেননা আইসি তপনবাবুকে বার বার হুমকি ধমকি ও চাপ দিচ্ছিলেন কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ করার জন্য। সেই সঙ্গে তিনি তপনবাবুর ভাইপো মিঠুন কান্দুকেও এক নাগাড়ে ফোন করে যাচ্ছিলেন যাতে সে তপনবাবুকে বোঝায় কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগদান করার জন্য। একই সঙ্গে তপনবাবু খুন হওয়ার পরে বেশ কিছু অডিও ক্লিপ ভাইরাল হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়। সেখানেও সঞ্জীববাবুর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। যদিও পুরুলিয়া জেলার পুলিশ সুপার ইতিমধ্যেই ঝালদা থানার আইসি এই খুনের ঘটনায় জড়িত নন। কিন্তু সেই দাবি মানতে নারাজ তপনবাবুর পরিবার। সেই সঙ্গে নিরঞ্জন বৈষ্ণবের রহস্য মৃত্যুর জেরেও আইসির দিকে আঙুল উঠেছে। এদিন এইসব কিছু নিয়েই সঞ্জীববাবুকে সিবিআই আধিকারিকেরা জিজ্ঞাসাবাদ করছেন বলে সূত্রে জানা গিয়েছে।