নিজস্ব প্রতিনিধি: কাঁথি পুরসভা থেকে লোপাট হয়ে গেল সারদার প্রকল্পের নথি। এমনটাই অভিযোগ জানানো হয়েছে কাঁথি পুরসভার (CONTAI MUNICIPALITY) পক্ষ থেকে। নাম না করে অভিযোগের তির অধিকারী পরিবারের দিকেই। পুরসভার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, দীর্ঘদিন ধরে কাঁথি পুরসভার দায়িত্বে যারা ছিলেন, তাঁরাই এই কাজ করেছেন। এই ঘটনায় ফের চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানানো হয়েছে, তদন্ত চলছে।
অভিযোগ, পুরসভা থেকে গায়েব হয়েছে সারদার অফিস ও আবাসন প্রকল্প সংক্রান্ত নথি। ইতিমধ্যেই কাঁথি থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন পুরপ্রধান। তিনি বলেন, অনেকদিন ধরে যারা কাঁথি পুরসভার দায়িত্বে ছিলেন তাঁরাই এই কাজ করেছেন। কারণ তাঁদের সময়েই অস্তিত্ব ছিল সারদার। তাঁর দাবি, ষড়যন্ত্র করে ফাইল লোপাট করা হয়েছে। এই প্রসঙ্গে পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, কারা ফাইল সরিয়েছে তা নিয়ে তদন্ত করা উচিৎ। পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পুরসভার পক্ষ থেকে এফআইআর (FIR) করা হয়েছে। তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, গত ১৮ জুন হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি ও কলকাতার মুখ্য মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটকে চিঠি দিয়ে সারদা (SARADHA) কর্তা সুদীপ্ত সেন দাবি করেছিল সারদার টাকা নিতেন শুভেন্দু। কত টাকা, কী ভাবে নিতেন তা চিঠিতে লেখা হয়েছিল বিস্তারিত ভাবে। এরপর ফের গত ২৪ জুন সল্টলেকের সাংসদ- বিধায়কদের আদালতে হাজিরা দিতে এসে সরব হয়েছিল সুদীপ্ত। সেবারেও দাবি করেছিল, সারদার টাকা নিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী (SUVENDU ADHIKARY)। সারদাকর্তার অভিযোগ, সেবি’র হাত থেকে বাঁচানোর প্রতিশ্রুতি তাকে দিয়েছিলেন শুভেন্দু। এরপর গত ৩০ জুন ব্যাঙ্কশাল কোর্টে হাজিরা দেওয়ার আগে সারদাকর্তার দাবি ছিল, কোটি টাকার ওপর হাতিয়েছে শুভেন্দু অধিকারীর পরিবার। তার অভিযোগ, বিভিন্ন ভাবে টাকা তুলেছিলেন শুভেন্দু। প্ল্যান পাশ করানোর জন্য টাকা নিয়েও শুভেন্দু অধিকারী তা করেননি বলে দাবি সারদা কর্তার। অভিযোগ, কাঁথি পুরসভায় ৫০ লক্ষ টাকা জমা করেছিল সুদীপ্ত। বহুতল নির্মাণের জন্যই এই বিপুল অঙ্কের টাকা জমা দিতে হয়েছিল বলে দাবি। আরও দাবি, বহু লক্ষ টাকা খরচ করে তৈরি করে দিয়েছিল লেবার হাট। সারদাকর্তার অভিযোগ, এতকিছুর পরেও কাঁথি পুরসভা বহুতলের প্ল্যান পাশ করাননি শুভেন্দু। সুদীপ্তর দাবি, এর আগের চিঠিতে মুকুল ও অধীররঞ্জনের নাম দিয়েছিল সে। দ্বিতীয় চিঠিতে শুভেন্দুর নাম রয়েছে বলে দাবি সারদাকর্তার। এরপরেই বলেন, ৫০ লক্ষ টাকা নিয়ে সব কাজ করালেও বিল্ডিংয়ের প্ল্যান পাশ করাননি শুভেন্দু। আরও দাবি, এর আগেও কাঁথি পুরসভায় টাকা জমা করেছিল সুদীপ্ত। অভিযোগ, শুভেন্দু আগেও নিয়েছিলেন ৯০ লক্ষ টাকা। এরপরে সারদা কর্তা সুদীপ্ত সেনের দাবি, শুভেন্দু অধিকারী শুধু নন। টাকা নিয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারীর ভাই সৌমেন্দু অধিকারীও।