নিজস্ব প্রতিনিধি: পুরুলিয়া জেলার ঝালদা(Jhalda) পুরসভার চার বারের কাউন্সিলর তপন কান্দু(Tapan Kandu) খুনের ঘটনায় তদন্তের কাজ একটু একটু করে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন সিবিআই(CBI) আধিকারিকেরা। ইতিমধ্যেই তাঁরা খুনের ঘটনায় চার প্রত্যক্ষদর্শী, এক সিপিএম নেতা, তিনজন ব্যাঙ্ককর্মী-সহ মোট ১৪ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ সেরে ফেলেছেন। সেই সঙ্গে কথা বলেছেন তপনবাবুর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গেও। সিবিআইয়ের ডিআইজি অখিলেশ সিংয়ের নেতৃত্বে সেই তদন্ত চলছে। ঝালদা থানার পাঁচ পুলিস কর্মীকে তপনবাবু খুন হওয়ার পরে ক্লোজড করা হয়েছিল রাজ্য পুলিশের তরফে। সেই ৫ পুলিশকর্মীকে ডেকেও জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন সিবিআই আধিকারিকেরা। শনিবারও তাঁদের আবারও ডেকে পাঠানো হয়েছে ঝালদায় থাকা বন দফতরের গেস্ট হাউসে সিবিআইয়ের অস্থায়ী ক্যাম্প অফিসে। এদিন সেখানে ওই ৫জনের বয়ান রেকর্ড করবেন সিবিআই আধিকারিকেরা।
তবে চাঞ্চল্যকর ঘটনা হচ্ছে ঝালদা থানার আইসি(IC) সঞ্জীব ঘোষকে গতকাল ডেকে পাঠানো হলেও তিনি হাজিরা দেননি সিবিআইয়ের ওই অস্থায়ী কার্যালয়ে। আর সেই কারণেই জানা গিয়েছে, সিবিআই আধিকারিকেরা এবার সোজা থানায় গিয়ে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারেন। সেই সঙ্গে ঘটনার দিন অর্থাৎ ১৩ মার্চ ঝালদা থানায় যে সব পুলিশকর্মী ডিউটিতে ছিলেন তাঁদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারেন তাঁরা। তবে সিবিআই ঝালদা মহকুমার এসডিপিও(SDPO) সুব্রত দেব-কে ডেকে পাঠিয়েছিল। শনিবার সকালে সুব্রতবাবু সিবিআই কার্যালয়ে হাজিরা দেন। সেখানে প্রায় দেড় ঘন্টা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় তাঁকে। সিবিআইয়ের ডিআইজি অখিলেশ সিংয়ের উপস্থিতিতে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন আধিকারিকরা। এদিন আবার তপনবাবুর ভাইপো মিঠুন কান্দুর মোবাইল ফোন দুটি বাজেয়াপ্ত করেছেন সিবিআই আধিকারিকেরা। সেগুলির ফরেন্সিক টেস্ট করা হবে বলে জানা গিয়েছে। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে তপনবাবুর ফোনও। দুটি ফোনেরই যাবতীয় কল খতিয়ে দেখা হবে।