নিজস্ব প্রতিনিধি: তিনি আগে ছিলেন বামে। পরে যান রামে। হয়েছেন বিধায়ক, তাও নিজেরই গুরুকে হারিয়ে। ইচ্ছা ছিল হবেন মেয়র, গোল বাধল পুরনির্বাচনে হেরে গিয়ে। এবার ছাড়লেন তিনি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ(Whatsapp Group), তাও আবার দলের। আর তাতেই উঠল প্রশ্ন তিনি কী তাহলে আবারও অন্য ফুলে? নজরে শিলিগুড়ির(Siliguri) বিজেপি বিধায়ক(MLA) শঙ্কর ঘোষ(Shankar Ghosh)। কেননা তিনি দল না ছেড়েও ছেড়েছেন দলের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ। আর তা নিয়েই শোরগোল উত্তরের নানান মহলে, শোরগোল রাজ্য রাজনীতিতেও। সব থেকে বড় প্রশ্ন যেটা উঠছে সেটা হল শঙ্কর কী এবার বিজেপি(BJP) ছাড়ছেন? যদিও সেই সম্ভাবনা নাকচ করেছেন শঙ্কর নিজেই। কিন্তু জল্পনা থামছে না।
জানা গিয়েছে, গত কয়েক দিন ধরে বিজেপি নেতাদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছাড়ার হিড়িক চলছে। সেই তালিকায় এবার নাম উঠল শঙ্কর ঘোষের। কেননা তিনি বিজেপির পর্যবেক্ষকদের নিয়ে তৈরি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছেড়ে বেড়িয়ে এসেছেন। যদিও বিজেপির একাধিক হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে এখনও রয়েছেন শঙ্কর। গোটা ঘটনা নিয়ে শঙ্করের দাবি, ‘এর সঙ্গে রাজনৈতিক মতানৈক্যের কোনও সম্পর্ক নেই। আমি হোয়াটসঅ্যাপ ইউনিভার্সিটিতে বিশ্বাসী নন। অবাঞ্ছিত গ্রুপে থাকার ফলে সমস্যা হচ্ছে। আমাদের বহু গ্রুপ তৈরি করে দেওয়া হয়। কর্মসূত্রে আরও কিছু গ্রুপে অ্যাড হতে হয়। তবে এমন কিছু অবাঞ্ছিত গ্রুপে থাকার ফলে মূল খবর বা ইনফরমেশন চোখের আড়াল হয়ে যায়। কাজেই সেই গ্রুপ থেকে বেরিয়ে যাওয়া ভাল। এর পিছনে অন্য কোনও কারণ নেই। দলের বাকি গ্রুপগুলোতে আমি রয়েছি। আগেও বেশ কিছু হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছেড়েছি। এখন নতুন করে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছেড়ে কাউকে বার্তা দেওয়ার কিছু নেই।’
যদিও শঙ্করের এহেন নির্ভেজাল দাবিকে কেউই মানতে চাইছেন না। বরঞ্চ মুচকি হেসে তাঁর ঘনিষ্ঠ অনেকেই জানাচ্ছেন, জল গড়াচ্ছে জোড়াফুলের পথেই। এখনই না হলেও ছবি বদলাতেই পারে ২০২৪ আগে বা পরে। কেননা বঙ্গ বিজেপির অনেক বিষয়ে ক্ষুব্ধ রয়েছেন শঙ্কর। তিনি বিধায়ক হয়েও দলের নানা বিষয়ে অন্ধকারে রয়েছেন। তাঁকে গুরুত্বই দিচ্ছেন না তাঁরই দলের নেতাদের একাংশ। আর এ ব্যাপারে দলের রাজ্য নেতৃত্বকে জানিয়েও কোনও সুরাহা হয়নি। তাই আস্তে আস্তে দল থেকেও দূরত্ব বাড়াচ্ছেন তিনি। এখনই দল না ছাড়লেও বছর দুইয়ের মধ্যে পরিস্থিতি বদলাতেই পারে বলে শঙ্কর ঘনিষ্ঠদের দাবি।