নিজস্ব প্রতিনিধি: মতুয়াদের বঞ্চনা নিয়ে ফের ক্ষোভ উগরে দিলেন বনগাঁর বিজেপি সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় জাহাজ প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর। বুধবার নদিয়ার চাকদহের লক্ষ্মীপুর গ্রামে মতুয়া সম্-প্রদায়ের এক ধর্মসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘সব রাজনৈতিক দল নিজেদের স্বার্থে মতুয়াদের ব্যবহার করেছে। আমাদের আর্থিক মেরুদণ্ড ভেঙে তৃতীয় শ্রেণির নাগরিক করে রাখা হয়েছে। মতুয়ারা বঞ্চিতই থেকে গিয়েছেন।’ আর্থিক ও সামাজিক বঞ্চনার বিরুদ্ধে সরব হওয়ার জন্যও মতুয়া সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানান তিনি। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন, দু’হাত তুলে ভোট দিলেও যে বিজেপি মতুয়াদের জন্য কিছু করেনি, পরোক্ষে সেই বার্তাই দিয়েছেন বনগাঁর বিজেপি সাংসদ।
বঙ্গ বিজেপির নতুন রাজ্য কমিটি ও জেলা সভাপতির নাম ঘোষণার পরেই কার্যত বিদ্রোহ ঘোষণা করেছেন বনগাঁর সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় জাহাজ প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর। সাংগঠনিক ক্ষেত্রে মতুয়াদের গুরুত্ব না দেওয়ায় বেজায় চটেছেন তিনি। ইতিমধ্যেই দলের বিক্ষুব্ধ নেতাদের নিয়ে বেশ কয়েকদফা বৈঠক করেছেন। কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের উপরে চাপ সৃষ্টি করার জন্য মতুয়াদের নিয়ে গিয়ে দিল্লিতে সমাবেশ করারও উদ্যোগ নিয়েছেন।
এদিন ঠাকুরনগরে এক স্বাস্থ্য শিবিরের আয়োজন করেছিল অখিল ভারতীয় মতুয়া মহাসঙ্ঘ। প্রথমে ওই শিবিরে যোগ দেন তিনি। সেখানে অবশ্য তাঁর সঙ্গে বৈঠক করা জয়প্রকাশ মজুমদার ও রীতেশ তিওয়ারিকে দল থেকে বহিষ্কার নিয়ে টুঁ শব্দটি করেননি। পরে চাকদহের লক্ষ্মীপুরে মতুয়া ধর্মসভায় যোগ দিয়ে মতুয়াদের বঞ্চনা নিয়ে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন বনগাঁর বিজেপি সাংসদ।
নিজেদের ভাগ্য ফেরাতে মতুয়াদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘দেশভাগ একটা বড় চক্রান্ত ছিল। জংলি পশুদের মতো মতুয়াদের ছুঁড়ে ফেলা হয়েছিল। ভারতের নাগরিক হয়ে আমরা রাতারাতি বেনাগরিক হয়ে গেলাম। কোনও রাজনৈতিক দল মতুয়াদের উন্নয়নের জন্য কিছু করেনি। শুধু বঞ্চনা করে গিয়েছে। আমাদের ১০০ বছরের ইতিহাসের কোথাও পড়ানো হয়? সমাজে তখনই আপনি জায়গা পাবেন, যখন আপনি কথা বলবেন। সংঘবদ্ধতাই একমাত্র রাস্তা’।