নিজস্ব প্রতিনিধি: অন্য ভাবে যে হবে পঞ্চায়েত (PANCHAYET) পার্থী নির্বাচন, তা আগেই বলে দিয়েছিলেন জোড়াফুল শিবিরের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (ABHISHEK BANERJEE)। বলেছিলেন, সাধারণ মানুষ আর দলের কর্মীরা যাকে পছন্দ করবেন, যিনি স্বচ্ছ তিনিই হবেন প্রার্থী। স্পষ্ট জানিয়েছিলেন, দাদা-দিদি ধরে টিকিট পাওয়া যাবে না। সেই মতোই হচ্ছে প্রার্থী তালিকা প্রস্তুত। চিত্রটা হুগলী জেলার সিঙ্গুর এবং হরিপালের।
একটি পঞ্চায়েতের সকল বুথের সক্রিয় কর্মীরা প্রার্থী তালিকা তৈরিতে অংশগ্রহণ করেছিলেন। আর প্রার্থী তালিকা তৈরি হচ্ছে ব্যালটের মাধ্যমে! হুগলী জেলার সিঙ্গুর বিধানসভায় ১৬ এবং হরিপালে ১৫টি পঞ্চায়েত। সিঙ্গুরের পঞ্চায়েতের সক্রিয় কর্মীদের মধ্যে এদিন দেখা গিয়েছিল ভোটের মেজাজ। পছন্দ অনুযায়ী ক্রমানুসারে ৩ জন প্রার্থীর নাম সকল জমা দিতে পেরেছিলেন ব্যালটের মাধ্যমে।
সিঙ্গুর এবং হরিপালে কী ভাবে পঞ্চায়েত পার্থী নির্বাচন করা হবে, তা নিয়ে সম্প্রতি বৈঠক করেছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী বেচারাম মান্না। সেই মতোই পার্থী নির্বাচনে ব্যালট ভোট হল সিঙ্গুরের ১৬ পঞ্চায়েতের ১৭৮টি বুথে। নামের সেই তালিকা যাবে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে। অন্যদিকে, হরিপালের ১৫টি পঞ্চায়েতের ২৪৯ বুথের প্রার্থী তালিকা নিয়েও শুরু হয়েছে বৈঠক।
আজ কামারকুণ্ডুতে মুখ্যমন্ত্রীর ‘দিদির সুরক্ষাকবচ’ কর্মসূচি ছিল। সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী বেচারাম মান্না এবং বিধায়ক করবী মান্না। এদিন অভিষেকের সুরেই মন্ত্রী বলেন, নির্বাচন হবে শান্তিপূর্ণ ভাবে।