নিজস্ব প্রতিনিধি: আগামী ৮জুলাই রাজ্যের ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচনের(Panchayat Election) ভোটগ্রহণের দিন। সেই নির্বাচনের জন্য এদিনই মনোনয়ন দাখিলের শেষ দিন। অথচ এই দিনেই ভারত বনধ(Bharat Bandh) ডেকে বসে আছে আদিবাসী সেঙ্গেল অভিযান(Adivasi Sengel Abhiyaan) নামের একটি সংগঠন। মোট ৬ দফা দাবিতে বৃহস্পতিবার ভারত বনধের ডাক দিয়েছে এই সংগঠনটি। এই দাবিগুলির মধ্যে অন্যতম হল কুড়মিদের(Kurmi) আদিবাসী মর্যাদা না দেওয়া। এই বনধের জেরে রাজ্যের সামগ্রিক জনজীবনে সে ভাবে প্রভাব না পড়লেও রাজ্যের বেশ কিছু জেলায় তার প্রভাব পড়েছে। কেননা ওই সব জেলায় বনধের সমর্থকেরা রাস্তা ও রেল অবরোধ(Road and Rail Block) শুরু করেছেন। আর তাতেই ভোগান্তির মুখে পড়েছেন হাজার হাজার মানুষ। একই সঙ্গে চিন্তা হয়ে দেখা দিয়েছে, এই অরোধের জেরে অনেকেই রাস্তায় হয়তো আটকে যাবেন ও তাঁদের মনোনয়ন দাখিল করতে পারবেন না।
আরও পড়ুন পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে আবারও শুভেন্দুর মামলা হাইকোর্টে, দ্বারস্থ কমিশনও
প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, আদিবাসী সেঙ্গেল অভিযানের ডাকা বনধ ও রেল অবরোধের জেরে পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, ঝাড়গ্রাম, মালদা ও দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় বেশ ভালই প্রভাব পড়েছে। এদিন সকাল থেকেই দক্ষিণ পূর্ব রেলওয়ের আদ্রা ডিভিশনের অন্তর্গত পুরুলিয়ার সাঁতুড়ির মধুকুণ্ডা স্টেশনে রেল অবরোধ করেন আদিবাসীদের। তাঁদের হাতে ছিল আদিবাসীদের বিভিন্ন অস্ত্র, ধামসা-মাদল। এই অবরোধের জেরে আদ্রা ডিভিশনে রেল চলাচলে ব্যপক প্রভাব পড়েছে। শুধু দক্ষিণ-পূর্ব রেলওয়ের আদ্রা ডিভিশনেই সব মিলিয়ে মোট ৩৮টি ট্রেন বাতিল বা সময়সীমা বদল করা হয়েছে। রেল অবরোধ হয়েছে ডালখোলা স্টেশনেও। দোকানপাট বাজার খোলা থাকলেও বেসরকারি বাস চলাচলেও সামান্য প্রভাব। একই ছবি বাঁকুড়া এবং ঝাড়গ্রামের কিছু অংশে। বনধের আংশিক প্রভাব পড়েছে মালদা, দক্ষিণ দিনাজপুরেও। কিছু কিছু জায়গায় বেসরকারি বাস পরিষেবাও অমিল।