এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

‘জহর সরকারের মতো স্বার্থপর আমলা দেখিনি’, সরব সৌগত

নিজস্ব প্রতিনিধি: গরু পাচার থেকে কয়লা পাচার, নারদ থেকে সারদা, এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি – এইসব কিছুতেই বিদ্ধ তৃণমূল। এই সব ঘটনা নিয়ে কেন্দ্রীয়ত তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই ও ইডি তদন্ত করছে। সেই সূত্রেই গ্রেফতার হয়েছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়(Partha Chattopadhay) ও অনুব্রত মণ্ডল(Anubrata Mondol)। দুইজনেরই ঘনিষ্ঠজনদের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে কোটি কোটি টাকা ও সম্পত্তি। সেই ঘটনা নিয়েই সরব হয়েছেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ জহর সরকার(Jawhar Sircar)। তার জেরে তাঁকে আবার পাল্টা আক্রমণ শানিয়েছেন তৃণমূলের লোকসভার সাংসদ সৌগত রায়(Sougata Roy)। তিনি সাফ জানিয়েছেন, ‘জহর সরকারের মতো স্বার্থপর আমলা দেখিনি। সাংসদ হওয়ার আগে একদিনও মিছিলে হাঁটেননি, উনি কোনও আত্মত্যাগ করেননি। জহর সরকার একজন তৃণমূল(TMC) কর্মীরও উপকার করেননি। কোনও আত্মত্যাগ করেননি। উনি চাইলে সাংসদ পদ ছেড়ে দিন, আমরা অন্য কাউকে উপনির্বাচনে জেতাব। শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে ওঁর বিরুদ্ধে দলের পদক্ষেপ করা উচিত।’

ঠিক কী বলেছেন জহরবাবু। রাজ্যের প্রথম শ্রেনীর এক সংবাদমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জহরবাবু অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। সেখানে তিনি বলেছেন, ‘এ বছর গোড়ার দিকেও একটা গর্বের দিক ছিল যে,  মোদির শক্তির সঙ্গে লড়াই করতে পারে যে, তার প্রতিনিধি আমি। পার্লামেন্টে বুকের ছাতি ফুলিয়ে ঘুরতাম। এখনও ঘুরতে পারি। তবে, একটা কমপ্লেক্স লাগে। লোকে যেভাবে দেখে, টিপ্পনি কাটে, খারাপ লাগে। মধ্যবিত্ত বাড়িতে বড় হয়েছি তো! যখন টিভিতে দেখলাম বিশ্বাসই করতে পারিনি। কারও বাড়ি থেকে এত টাকা বেরোতে পারে! কল্পনার অতীত। এমন দুর্নীতির সিন টিভিতে কম দেখা যায়। রাজনীতির কায়দা আমি বুঝি না। আমার আবেদন থাকবে, যারা ধরা পড়ছে, যারা ধরা পড়তে পারে , যারা দুর্নীতিগ্রস্ত, তাদের চিহ্নিত করতে হবে। একুশের সময় বলেছিলেন, কাটমানির কথা। অনেকে ফেরত দিয়েছে। আমাদের সেই নীতি মানতেই হবে। রাজনীতির নামে টাকা বানাবো। বান্ধবীর নামে ফ্ল্যাট কিনবো, মানা যায় না। পার্থকে আমি চিনি। কিন্তু বিশ্বাস করতেই পারছি না। দুর্নীতির টাকা দিয়ে এ ভাবে অলঙ্কৃত করা, কেমন গা শিরশির করে।’

জহর শুধু এখানেই থামেননি। তিনি আরও জানিয়েছেন, ‘পার্টির মধ্যে আমাদের কথা হয়েছে। আমাদের প্রশ্ন ছিল, আপনারা এসব জানতেন না? অনেকে বলেছেন, আমরা বিষয়টি জানতাম না! পার্টির মধ্যে বেশি থাকি না। বেশি ডাকেও না। বলে শুধু বক্তব্যের জন্য। সেখানেও চেপে দেওয়ার একটা চেষ্টা করে! আমি নিজে প্রতি মাসে চিন্তা করি যে, ছেড়ে দিতে পারি। কিন্তু, ছেড়ে দিলে কি উপকার হবে? টাকার জন্য তো আমি রাজনীতিতে আসিনি! আত্মসম্মান যদি না রাখতে পারি, ছেড়ে দেব।’ এরপরেই সৌগত রায়ের আক্রমণ, ‘কে সাংসদ পদ ধরে রাখতে বলেছে? প্রাক্তন আমলার পেনশন পান। প্রাক্তন সাংসদ হিসাবেও পেনশন পাবেন। জহর সরকারের মতো মানুষেরা নিজেদের ব্যক্তিগত উন্নতি আর আখের গোছানো ছাড়া আর কিছুই করে না। এরা সম্পূর্ণভাবে আত্মকেন্দ্রীক হয়। সবসময় নিজেদের নিয়েই ভাবেন। এদের কথার জবাব দিতেও ঘেন্না লাগে। ওনাকে বলে দিন মুখে বড় বড় বুলি না আউড়ে সাংসদ পদ ছেড়ে দিতে। আমরা ওই পদে অন্য কাউকে জিতিয়ে পাঠিয়ে দেব।’ তৃণমূলের তরফে অবশ্য এখনও জানানো হয়নি যে জহরবাবুর এই মন্তব্যের জন্য তাঁর বিরুদ্ধে দলগত ভাবে কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হবে কিনা।   

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

কোচবিহারের একাধিক জায়গায় বিজেপি-তৃণমূলের সংঘর্ষ, আধা সেনার ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন

সরাসরি : সকাল ১১টা পর্যন্ত বাংলায় ভোটদানের হার ৩৩ শতাংশের বেশি

প্রথম ২ ঘন্টাতেই কমিশনের কাছে ৩৭টি অভিযোগ তৃণমূলের

শুক্রে রাজ্য়ের তিন কেন্দ্রে ভোট, মোতায়েন ২৬৩ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী

শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ১৭০০০ পাতার চার্জশিট জমা ইডির

হাতির হানায় মৃতদের স্বজনেরা চাকরি পেয়ে মুগ্ধ মমতায়

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর